সম্পত্তির লোভে বাবা–মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। তবে এই খুন করার ঘটনায় ছেলে একা ছিল না। যোগ্য সঙ্গ দেয় তার স্ত্রীও। তারপর মৃতদেহ দুটি বাড়ির বাথরুমে রেখে দেওয়া হয়। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে দম্পতির ঝুলন্ত মৃতদেহ। অভিযুক্ত ছেলে ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান ওই দম্পতির মেয়ে ও এলাকাবাসী। আর সেই চাপেই আটক করা হয় ছেলে–বৌমাকে। দশমীর রাতে এই হাড়হিম করা খুনের ঘটনা ঘটে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। আটক করা হয়েছে বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে ও বৌমাকে। আর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে দুর্গাপুরের সাগরভাঙা গ্রামে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে যায়। বৃদ্ধ দম্পতির নাম ছিল—নির্মলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (৮৬) এবং ইলা বন্দ্যোপাধ্যায় (৮৪)। মৃত দম্পতির মেয়ের নাম চৈতালি মুখোপাধ্যায়। তিনিও তাঁর দাদা–বৌদির নামে খুনের অভিযোগ করেছেন। গতকাল শনিবার সারাদিন বাবা–মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি দম্পতির মেয়ে। দাদা–বৌদির কাছে জানতে পারেন, বাথরুমে বাবা–মায়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়িতে এসে মেয়ে চৈতালি সবটা দেখেন। আর দাদা–বৌদি খুন করেছে মা–বাবাকে বলে অভিযোগ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিশ। তাঁরাই গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: সিবিআই চার্জশিটে লম্বা সাক্ষীর তালিকা, ১২৮ জনের মধ্যে পুলিশ–চিকিৎসক আরও অনেকে
অন্যদিকে ওই দম্পতির ছেলে–বৌমার নাম বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদেরকে ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সামনেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি জানাতে থাকেন মৃত দম্পতির মেয়ে চৈতালি এবং বাকিরা। বাবা–মাকে প্রতিনিয়ত টাকার জন্য মানসিক নির্যাতন করত ছেলে–বৌমা বলে অভিযোগ। আর টাকা দিতে না পারার জন্যই বাবাকে খুন করে বাথরুমে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মেয়ে চৈতালি। উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে পুলিশ অভিযুক্ত দম্পতির ছেলে ও তার স্ত্রীকে থানায় আটক করে নিয়ে যায়।