বাংলার পুলিশ যে অত্যন্ত শক্তিশালী সে আরও একবার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন তাঁরা। মাত্র তিন ঘণ্টা লাগল বর্ধমানের ভাতারে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুনের কিনারা করতে। শুধু খুনের কিনারা করাই নয়, গ্রেফতার করল তিনজনকে। তারপর চলল দফায় দফায় জেরা। যেখানে ভেঙে পড়ল এই খুনিরা। পুলিশের জেরায় ধৃতরা নিজেদের অপরাধ কবুল করেছে বলে খবর। ওই বৃদ্ধ দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। কদিন ধরে যোগাযোগ করতে পারেননি আত্মীয়রা। প্রতিবেশীরাও কদিন বাইরে বের হতে দেখেননি। সদর দরজায় তালা দেওয়া ছিল। পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ওই তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে দু’জনের মৃতদেহ পড়ে আছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যা দেখে আলোড়ন পড়ে যায় এলাকায়। তবে দেহ উদ্ধারের তিন ঘন্টার মধ্যেই গোটা ঘটনার কিনারা করে ফেলে পুলিশ। আর গ্রেফতার করা হয় তিনজন আত্মীয়কে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, সম্পত্তি হাতাতেই এই খুন করা হয়েছে। সম্পত্তির কারণেই পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বৃদ্ধ দম্পতিকে। এই ঘটনার তদন্ত করতে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দোপাধ্যায়–সহ পুলিশ অফিসাররা। এমনকী নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুরও।
আরও পড়ুন: যোগীকে খুনের হুমকি দিয়ে গ্রেফতার আততায়ী, মালদা থেকে পাকড়াও করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধ দম্পতির মধ্যে একজন অভিজিৎ যশ (৭৭) এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা যশ (৬৫)। ভাতারে তাঁরা রবীন্দ্রপল্লীতে থাকতেন। ওই নিঃসন্তান দম্পতি খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। গত শুক্রবার তাঁদের শেষবার দেখা গিয়েছিল। বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল সবিতা যশের। তারপর থেকে আর ওই বৃদ্ধ দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বলে আত্মীয়রা পুলিশকে জানান। তারপর মঙ্গলবার তাঁদের বাড়িতে যান ওই বৃদ্ধার ছোট বোনের নাতি। তিনি দেখেন, বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে। তখন খবর দেওয়া হয় ভাতার থানায়। ভাতার থানার পুলিশ ঘরে ঢুকে দেখেন, অভিজিৎবাবুর দেহ উবু হয়ে পড়ে আছে বেড রুমে। আর মুখে ও গলার কাছে জড়ানো গামছা। তাঁর স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয় রান্নাঘরে।