পুলিশের দাবি সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আর তারই মধ্যে ফের পুলিশ ও আধাসেনার ওপর হামলার ঘটনা ঘটল সামসেরগঞ্জে। সোমবার সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম। তিনি এলাকার ছাড়তেই হামলার মুখে পড়েন পুলিশ ও আধাসেনার সদস্যরা। দ্রুত সেখানে বিশাল বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সোমবার সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে গিয়েছিলেন সেলিম। এখানেই বাড়ি থেকে টেনে বার করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল পেশায় মৃৎশিল্পী বাবা ও ছেলেকে। সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন সেলিম। অভিযোগ, তখন ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করে কিছু দাঙ্গাবাজ। তখন প্রাণে বাঁচতে সেখানে মোতায়েন আধাসেনার জওয়ানদের কাকুতি মিনতি করতে থাকেন স্থানীয়রা। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের আম বাগানের দিকে তাড়া করেন সেখানে উপস্থিত বিএসএফ জওয়ান ও পুলিশকর্মীরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আম বাগানের ভিতরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘিরে ধরে দাঙ্গাকারীরা। তখন প্রাণ বাঁচাতে কিছুটা পিছু হঠে পুলিশ। এর কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল বাহিনী। এর পর হামলাকারীদের পিছু হঠিয়ে দেয় তারা।এই ঘটনার পর জঙ্গিপুরে শান্তি কতটা ফিরেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ কি শুধুই কথার কথা বলছে? কোন ভরসায় বাড়ি ফিরবেন ঘরছাড়ারা?