বিরোধীদের অভিযোগ ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে। তাই আজ, সোমবার তারা বাংলা বনধ ডেকেছে। এই নিয়ে শহরে তেমন প্রভাব না পড়লেও গণ্ডগোল হয়েছে বালুরঘাট এবং নন্দীগ্রামে। একটি জায়গার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যিনি নিজেই পুলিশের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তেড়ে যান এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। আর একটি জায়গা নন্দীগ্রাম। যেখান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? আজ এখানে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনিই এখানকার বিধায়ক। আর নন্দীগ্রামে বিজেপির পথ অবরোধ করে। বনধকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। এমনকী পুলিশকে ঠেলাঠেলি, বচসা, ধস্তাধস্তি পর্যন্ত করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামের টেংগুয়া এলাকায়। পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করেই অবরোধ চালিয়ে যায় বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের সরে যেতে বললেও তারা সরেনি। এরপরই জোর করে বনধ সমর্থকদের সেখানে থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তখনই ধস্তাধস্তি হয়।
আজ সকাল থেকে বনধের ছবি খুব একটা ফুটে ওঠেনি রাজ্যজুড়ে। তবে কোথাও কোথাও মিশ্র পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। রাস্তায় নেমেছেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। প্রতিটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা। নন্দীগ্রামে পুলিশের উপর চড়াও হয় বিজেপির কর্মীরা। তাতেই উত্তেজনা দেখা দেয়।
নন্দীগ্রামে অবরুদ্ধ রাস্তায় জমায়েত তুলতে গিয়েই বেঁধেছে বচসা। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় বিজেপি কর্মী– সমর্থকদের সঙ্গে বচসা জোরদার হয় পুলিশের। পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলাদের হেনস্থার অভিযোগে উঠেছে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই রাস্তা আটকে বসে থাকে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। তা তুলে গিয়েই খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বিজেপি কর্মীরা গালিগালাজ করেছে বলেও অভিযোগ।