এবার পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও স্বামীর নাম বাংলার বাড়ি যোজনার তালিকায় তোলার অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদার মানিকচকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। উপপ্রধান প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের দাবি তাঁর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক নেই। তবে তা মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা।নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীকোল গ্রামে দোতলা বড়ি রয়েছে ওই পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান প্রিয়াঙ্কাদেবী ও তাঁর স্বামী কৃষ্ণ মণ্ডলের। অভিযোগ, তার পরেও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় নাম উঠেছে কৃষ্ণবাবুর। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকাও ঢুকেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। পেয়েছেন শংসাপত্রও। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, পাকা বাড়ি থাকতেও কী ভাবে বাংলার বাড়ি যোজনার সুবিধা পেলেন কৃষ্ণবাবু? এই নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর দাবি, ‘বিজেপির উপপ্রধানের স্বামীর নাম কী করে বাংলার বাড়ি যোজনার তালিকায় উঠল তা বিডিওকে খতিয়ে দেখতে বলেছি।’ওদিকে প্রিয়াঙ্কাদেবীর দাবি, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক নেই। সম্ভবত বিজেপি নেতৃত্বের সুপারিশে তাঁর নাম তালিকায় উঠেছে। এব্যাপারে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।স্থানীয়রা অবশ্য উপ প্রধানের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলেন, দোতলা পাকা বাড়ির মালিক হলেও দুর্নীতি করে স্বামীর নাম বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় তুলেছেন উপ প্রধান। এখন আবোল তাবোল যুক্তি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।অভিযুক্ত কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘আমার সঙ্গে স্ত্রীর ৫ মাস কোনও সম্পর্ক নেই। আমি মায়ের বাড়িতে থাকতাম। মা বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে। আমার নামে যে সামান্য জমি ছিল সেই জমিতেই বাড়ি করে থাকব।’