অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ফের অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা। এবার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের এক নেতা। পাবনার আওয়ামি লিগের জেলা পরিষদের প্রাক্তন প্রার্থী মহম্মদ নজরুল ইসলাম সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের রানিতলা সীমান্ত দিয়ে ঢোকার সময় ধরা পড়েন মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের হাতে। (আরও পড়ুন: পাক-চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ, কী বলছেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ?)
আরও পড়ুন: প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে এসে অবৈধভাবে বসবাস, ধৃত আওয়ামি নেতাসহ ২
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই আওয়ামি লিগ কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, হেনস্থা, খুনোখুনির অভিযোগ বাড়ছে। সেই প্রেক্ষিতে প্রাণের ভয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। নজরুল ইসলাম তাঁদেরই একজন। তাঁর দাবি, ‘‘ওরা আমাকে মেরে ফেলত। বাঁচার উপায় না পেয়ে ভারতে চলে এসেছি।’কিন্তু সেই পালানোর আগেই পুলিশের নজরে চলে আসেন তিনি। রাতের অন্ধকারে ঘাট এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের পরে হরিরামপুর অঞ্চলে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে স্থানীয়দের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় রানিতলা থানার পুলিশ। সেই সময় গ্রেফতার করা হয় নজরুলকে। (আরও পড়ুন: ফের টিটিপির হামলা পাক সেনার ওপর, একাধিক জওয়ানকে হত্যার দাবি)
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে পাককে মদত করা তুরস্কের নজর ভারতের পূর্বে, বাংলাদেশ সেনা বলল…
আদালতে তোলা হলে মঙ্গলবার তাঁকে ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এখন তাঁকে জেরা করছে পুলিশ। লালবাগ মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসপ্রিত সিং জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। অনুপ্রবেশের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। (আরও পড়ুন: রাজস্থানের চুরুতে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান, আশেপাশে মিলল দেহাবশেষ)
স্থানীয়দের প্রশ্ন, সীমান্তে বিএসএফ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একজন বিদেশি নজরদারি এড়িয়ে জনবসতিতে ঢুকে পড়লেন। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, সীমান্ত দিয়ে যেভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তাতে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ নয়, এর আড়ালে চোরাচালানও চলছে। তাই আরও কঠোর নজরদারি দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।পুলিশ সূত্রে খবর, নজরুল শুধু আওয়ামি লিগের প্রার্থীই নন, রাজনৈতিক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্যবস্তুও হয়েছিলেন। তাঁর কাছে থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এই অবস্থায় রাজনৈতিক অনুপ্রবেশই এবার সীমান্তে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল নিরাপত্তা নিয়ে।