কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে আটক করেছে। এমনকী এনআইএ, আইবি এসটিএফও তাকে জেরা করেছে। জঙ্গি সন্দেহে ওই যুবককে আটক করা হয়।
ওই যুবকের বাড়ি কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ভান্ডারখোলা মল্লিকপাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কয়েকজনের সঙ্গে তার একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছিল পাশের ওই যুবকদের হাতে অত্য়াধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। কোনও পাহাড়ি এলাকায় তারা বসে রয়েছে বলে মনে করা হয়। এরপরই শোরগোল পড়ে। তারা আসলে পাকিস্তানি বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ওই যুবকের সঙ্গে পাকিস্তানি লোকজনের পরিচয় হল কীভাবে? এটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওই যুবকের সঙ্গে পাড়ার এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরে টানাপোড়েন লেগেই ছিল। ওই মহিলাকে নিয়ে সে পালিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নানা ধরনের টানাপোড়েন চলছিল। এরপরই আতঙ্কে দুবাই চলে যায় সে। সেখানে তার সঙ্গে দুজন পাকিস্তানি যুবকের পরিচয় হয়। এরপর ওই মহিলার স্বামীকে ভয় দেখানোর জন্য় তাদের সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করেন ওই যুবক। আর তাতেই শোরগোল।
কিন্তু সে দুবাই গেল কীভাবে?
আসলে সে মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে শিয়ালদা স্টেশন থেকে মহিলাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে পরিবারের লোকজন। এরপর যুবক আতঙ্কে আর বাড়ি ফেরেননি। তিনি কৃষ্ণনগরের মাসির বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল। এরপর জামাইবাবুর কাছে কাজ করার জন্য সে মুম্বইতে চলে যায়। এরপর দালাল ধরে দুবাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে সে দেখে তাকে সাফাই কাজ করতে হবে। এরপরই আর ভালো লাগছিল না তার। কারখানায় তার সঙ্গে দুই যুবকের পরিচয় হয়েছিল। সেখানে একটি শপিং মলে সে ওই দুই পাকিস্তানি যুবকের সঙ্গে সেলফি তোলে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এরপর সেটা আবার সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্টও করে ফেলে। আর কিছুক্ষণ পরে বুঝতে পারে তার মহা ভুল হয়ে গিয়েছে। এরপর আর ঝুঁকি না নিয়ে সে ডিলিট করে ফেলে। কিন্তু ততক্ষণে লোকজন স্ক্রিনশট নিয়ে নিয়েছে। এদিকে তারপর থেকেই শোরগোল। এমনকী সেই ছবিতে সে পাকিস্তানি ভাই বলেও লিখেছিল। আসলে ওই মহিলার স্বামীকে ভয় দেখানোর জন্য তার এই কীর্তি। এরপর দুবাইতে কিছুদিন থেকে ফিরে আসে সে। কিন্তু ওই ছবির জেরে এবার মহা চাপে।