কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরীচক এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, গতকাল একুশে জুলাই উপলক্ষে সভায় যোগ দিয়েছিলেন গ্রামের আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বাড়ি ফেরার পরেই ঘটে বিপত্তি। আদি তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের উপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাঁরাও তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলে অভিযোগ।
হাওড়ার পাঁচলা এবং মালদার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। তারইমধ্যে তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এছাড়াও, মহিলাদের শ্লীলতাহানি মারধর করার পাশাপাশি বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। মূলত তৃণমূলের আদি ও নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরীচক এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। দাবি, গতকাল একুশে জুলাই উপলক্ষে সভায় যোগ দিয়েছিলেন গ্রামের আদি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বাড়ি ফেরার পরেই ঘটে বিপত্তি। আদি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের উপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাঁরাও তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলে অভিযোগ। এরপরেই আদি তৃণমূলের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাড়ির মহিলাদেরও ছাড়া হয়নি। এক তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী'র চুলের মুঠি ধরে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সেখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। পঞ্চায়েত ভোট পর্বে সেই দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। এদিন কেন তাঁরা একুশের সমাবেশে গিয়েছিল? এই প্রশ্ন তুলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে। যদিও সিপিএম দাবি করেছে, সেখানে সিপিএমের কোনও কর্মী সমর্থক নেই। আসলে তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।