স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু, সন্তানে আপত্তি রয়েছে স্বামীর। তাই স্ত্রীকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে আপত্তি জানানোয় গুরুতর অভিযোগ উঠল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগে পুলিশ ওই মহিলার স্বামী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের কান্দি থানা এলাকার।
আরও পড়ুন; তিন-তিনবার প্রেমিকার গর্ভপাত করান ডাক্তারি পড়ুয়া? ধৃত কলকাতা মেডিক্যালের ছাত্র
জানা গিয়েছে, এটি বাঘআছড়া গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার বছর আগে মিনার সঙ্গে খুশিরুদ্দিন শেখের বিয়ে হয়। মিনার বাপের বাড়ি কান্দি থানার পুরন্দরপুরে। বিয়ের পর থেকেই সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। খুশিরুদ্দিন কর্মসূত্রে সৌদি আরব থাকলেও গত এক বছর ধরে তিনি দেশে রয়েছেন। সম্প্রতি মিনা অন্তঃসত্ত্বা হন। অভিযোগ, সেই খবর জানার পরই স্বামী ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে শুরু হয় চাপ যে গর্ভপাত করাতে হবে। কিন্তু মিনা সে প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
মিনার পরিবারের অভিযোগ, গর্ভপাত করতে রাজি না হওয়ায় একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয় মেয়েকে। শেষ পর্যন্ত মারধর করা হয়। এমনকি, একদিন খুশিরুদ্দিন মিনা খাতুনের পেটে লাথি মারেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, গর্ভে থাকা সন্তান আর নেই। এই ঘটনার পর মিনার পরিবার কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁরা হলেন আহিনুর বিবি, নজরুল শেখ ও ওবাইদুল শেখ। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত চার জনকেই গ্রেফতার করেছে। যদিও অভিযুক্তদের তরফে সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।