শনির সাড়েসাতি একটি নির্দিষ্ট সময়কাল, যা সকল রাশির জীবনেই আসে এবং এর মেয়াদ সাড়ে সাত বছর। তবে কখন সাড়েসাতি প্রভাব মুক্ত হবে, তা আপনার নির্দিষ্ট রাশির ওপর নির্ভর করে।
শনির সাড়েসাতি কালে কী করা উচিত?
শনির সাড়েসাতির সময় সাধারণত জীবনে চ্যালেঞ্জ, বাধা-বিপত্তি ও আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা এবং কর্মফলের দাতা মনে করা হয়। শনির সাড়েসাতি কালে পাঁচ কাজ করলে বড়ঠাকুরের কৃপা লাভ করা সহজ হয়।
১. শনিদেবের পূজা ও মন্ত্র জপ: প্রতি শনিবার শনি মন্দিরে সর্ষের তেল ও কালো তিল নিবেদন করুন। শনিদেবের মন্ত্র যেমন: "ঔঁ প্রাং প্রীং প্রৌং সঃ শনয়ে নমঃ" বা "নীলাঞ্জন সমাভাসং রবিপুত্রং যমাগ্রজম। ছায়া মার্তণ্ড সম্ভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম।" মন্ত্র জপ করুন। প্রতিদিন বা প্রতি শনিবার শনির চালিসা পাঠ করুন। পুজোর সময় তামার পাত্র ব্যবহার করা উচিত নয় (কারণ তামা সূর্যের ধাতু এবং শনি-সূর্য শত্রু)। লোহার বা মাটির প্রদীপ ব্যবহার করুন।
২. দান-ধ্যান ও সেবা: গরীব, অসহায় বা অভাবী মানুষদের কালো বস্ত্র, কালো তিল, সর্ষের তেল, মাসকলাই (কালো ডাল), লোহা ইত্যাদি দান করুন। বৃদ্ধ মানুষ, পিতা-মাতা বা গুরুজনদের সেবা ও সম্মান করুন। কালো কুকুরকে গুড় ও রুটি বা খাবার খাওয়ান। কুষ্ঠ রোগীদের সেবা করুন বা ওষুধ ও ব্যান্ডেজ দান করুন।
৩. হনুমানজির পুজো: শনিদেবের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে হনুমানজির পুজো করুন। প্রতি শনি বা মঙ্গলবার হনুমান চালিসা বা সুন্দরকাণ্ড পাঠ করুন।
(আরও পড়ুন - বেদানা ইলিশের স্বাদে জমে যাবে অষ্টমী! মাত্র আধঘণ্টায় রাঁধুন বাড়িতেই, রইল রেসিপি
আরও পড়ুন - ষষ্ঠী থেকে দশমী দুবেলাই ভোগের লাইন, চেনা আয়োজনে নতুন পুজো খোঁজেন প্রবাসীরা)
৪. গাছ পূজা ও শুভ কাজ: প্রতি শনিবার অশ্বত্থ গাছের নিচে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। শমী গাছকে শনিদেবের প্রিয় গাছ। মনে করা হয়, শমীর কাঠের প্রতিকার বা শমী গাছের নিচে শনিবার প্রদীপ জ্বালানো শুভ। ঘরের মূল দরজায় কালো ঘোড়ার নাল (জুতো) লাগাতে পারেন।
৫. জীবনযাত্রায় পরিবর্তন: এই সময়ে সততা ও নিয়মানুবর্তিতা বজায় রেখে চলুন। মিথ্যা কথা বলা বা কারও ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকুন। শনিবার নিরামিষ খাবার গ্রহণ করুন। মদপান বা ধূমপান এড়িয়ে চলুন।