জন্মাষ্টমীর সঙ্গে ময়ূরের পালকের সম্পর্ক খুব গভীর। শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মাথায় ময়ূরের পালক পরতে খুব ভালোবাসতেন, তাই ময়ূরের পালক শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম প্রিয় বস্তু। ময়ূরের পালকের কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে, যা এই উৎসবের সময় আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।ময়ূরের পালক শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এর মধ্যে রয়েছে আধ্যাত্মিক এবং বৈজ্ঞানিক অনেক গুণ। বিশ্বাস করা হয় যে ময়ূরের পালক ঘরে রাখলে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য আসে। এছাড়া এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করতেও সাহায্য করে। তাই জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণকে ময়ূরের পালক দিয়ে সাজানো হয় এবং ভক্তরা নিজেদের বাড়িতেও তা রাখেন।ময়ূরের পালক স্নায়ু তন্ত্রের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পালকের সুন্দর এবং উজ্জ্বল রং মনের মধ্যে আনন্দ ও শান্তি নিয়ে আসে। তাই ধ্যান বা যোগের সময় অনেক সময় ময়ূরের পালক ব্যবহার করা হয়। এটি মনের অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করে।আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, ময়ূরের পালকের মধ্যে জীবাণুনাশক ক্ষমতাও আছে। আগেকার দিনে ছোট শিশুদের জীবাণুর আক্রমণ থেকে বাঁচাতে তাদের ঘরে ময়ূরের পালক রাখা হতো। জন্মাষ্টমীর সময় এটি ঘরে রাখলে পরিবেশ শুদ্ধ হয়।এছাড়াও, বাস্তুশাস্ত্রেও ময়ূরের পালকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাড়ির প্রবেশদ্বারে ময়ূরের পালক রাখলে খারাপ শক্তি এবং অশুভ জিনিস ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। এটি সৌভাগ্য এবং ধন-সম্পদ আকর্ষণ করে। জন্মাষ্টমীর দিনে শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করা ময়ূরের পালক বাড়িতে রাখলে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।ময়ূরের পালক এমন একটি বস্তু যা সৌন্দর্য, পবিত্রতা, সৌভাগ্য এবং সুস্থতার প্রতীক। জন্মাষ্টমীর এই পবিত্র দিনে এই বিশেষ জিনিসটি তাই আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।