মা দুর্গার বোধনের আগে বাড়ি থেকে কিছু জিনিস ফেলে দেওয়া বা পরিষ্কার করে রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই কাজগুলোকে বাস্তুশাস্ত্র এবং ধর্মীয় বিশ্বাস উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হল বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে ইতিবাচক শক্তিকে স্বাগত জানানো।
বোধনের আগেই বিসর্জন দিন এসব জিনিস
১. অকেজো ফোন ও চার্জার: অনেকেই পুরনো ফোন ও চার্জার জমিয়ে রাখেন বাড়ির মধ্যে। এই জিনিসগুলি ফেলে দেওয়া উচিত বোধনের আগেই। কোনও ই-ওয়েস্ট ফেলার জায়গায় ফেলে আসুন এই জিনিসগুলি। এগুলো নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আলস্য তৈরি করে।
২. ছেঁড়া অন্তর্বাস: যেসব অন্তর্বাস আপনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন না বা যেগুলো ছিঁড়ে গেছে, সেগুলো ফেলে দিন। আলমারিতে পুরনো ও অব্যবহৃত অন্তর্বাস জমিয়ে রাখলে বাড়িতে নেতিবাচকতা আসে।
৩. শুকনো বা মরা ফুল গাছ: যদি আপনার বাড়িতে কোনো শুকনো বা মরা ফুল গাছ থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলুন। শুকনো ফুল গাছ দুর্ভাগ্য এবং নেতিবাচকতার প্রতীক।
৪. পুরনো খবরের কাগজ: বাড়ির কোণে জমিয়ে রাখা পুরনো খবরের কাগজ সরিয়ে ফেলুন। এগুলো বাড়িতে অপ্রয়োজনীয় আবর্জনা তৈরি করে এবং শুভ শক্তির প্রবেশে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন - পঞ্চমীতে খেলা দেখাবেন সূর্য! ৪ রাশির কপাল সোনার মতো চমকাবে, প্রেমেও সুখবর
আরও পড়ুন - বিপরীত চাল বুধের! ৪ রাশির টাকার টান কাটাবেন রাজকুমার, প্রেমজীবনেও সুখের জোয়ার
৫. বন্ধ ঘড়ি: বাড়িতে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঘড়ি রাখা অত্যন্ত অশুভ। এটি জীবনের অগ্রগতিতে বাধা দেয় বলে মনে করা হয়। তাই, যদি কোনো ঘড়ি বন্ধ হয়ে থাকে, তাহলে হয় তা ঠিক করুন অথবা ফেলে দিন।
৬. ভাঙা কাচের বাসন: রান্নাঘরে ভাঙা কাচের বাসনপত্র রাখা বাস্তু মতে অশুভ। এগুলো আর্থিক ক্ষতি এবং পারিবারিক অশান্তি ডেকে আনতে পারে। তাই ষষ্ঠীতে মায়ের বোধনের আগেই বিসর্জন দিন এই বাসন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।