ষষ্ঠীর দিন সাধারণত মায়ের বোধনের জন্যই বিখ্যাত। কিন্তু এই দিন আরও তিনটি আচার পালন করা হয়ে থাকে। কল্পারম্ভ, বোধন, অধিবাস ও আমন্ত্রণ হল ষষ্ঠীর চারটি গুরুত্বপূর্ণ আচার এগুলি।
কল্পারম্ভ ষষ্ঠীর ভোরে পালন করা হয়ে থাকে। সূর্য উদয়ের পর পুরোহিত এই আচার পালন করে থাকেন। এই দিন পুরোহিত মায়ের পুজো সঠিকভাবে পরিচালনার সংকল্প নিয়ে থাকেন। মন্ডপে এই দিন জলভর্তি একটি তামার পাত্র স্থাপন করে মা দুর্গা ও চণ্ডীর পুজো করা হয়।
বোধন হল এর পরবর্তী আচার। এই সময় মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়ে থাকে। বোধনের পুজো সাধারণত গোধূলি বা সন্ধে নাগাদ পালন করা হয়ে থাকে। বোধন নিয়ে দুইরকম কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। পুরাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, শরৎকালে দেবলোকে রাত্রিকাল অর্থাৎ দক্ষিণায়ন। তাই এই সময় দেবীকে জাগ্রত করতে বোধনের রীতি পালন করা হয়ে থাকে। অন্য আরেক মতে, দেবীকে অকালবোধন করেছিলেন এই সময় স্বয়ং রামচন্দ্র। যেহেতু বাংলায় মা দুর্গা পূজিত হন শরৎকালে রামচন্দ্রের রীতি মেনে, তাই অকালবোধন করা হয় এই সময়।
আরও পড়ুন - নবরাত্রির নয় দিনে দেবীর কোন কোন রূপ পূজিত হন? কীসের প্রতীক তাঁরা?
আরও পড়ুন - পুজোতেই সিঙ্গলরা পাবে সুখবর! নবরাত্রির রাজযোগে ৫ রাশির কেরিয়ার সোনার মতো উজ্জ্বল
বোধনের পর মাকে আবাহনের রীতি। তাই এর পরবর্তী আচার হল অধিবাস। এই সময় মায়ের পাশাপাশি পূজিত হন একটি বেল গাছও। পুজোর পর মায়ের মূর্তিতে ২৬টি মাঙ্গলিক দ্রব্য স্পর্শ করানো হয়ে থাকে। পুজোর বেদীর চারপাশে এই সময় লাল সুতোও বাঁধা হয় অশুভ শক্তিকে দূরে রাখার জন্য।
ষষ্ঠীর পুজোর শেষ আচার হল আমন্ত্রণ। এই আচারের মাধ্যমে দেবীকে সপ্তমীর পুজোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। মায়ের কাছে অনুরোধ করেন পুরোহিত, তিনি যেন পুজো গ্রহণ করেন। এর পর পঞ্চদ্রব্য সহকারে মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। সবশেষে আরতি করা হয় মায়ের।