জীবন যখন আছে, তখন তার সঙ্গে সমস্যা তো থাকবেই। কিন্তু সমস্যার পাশাপাশি সেগুলি সমাধানও তো চাই। হেঁশেলের বহু উপাদানই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু স্বাস্থ্য ছাড়াও বিভিন্ন জ্যোতিষ প্রতিকারেও সমানভাবে উপযোগী এইসব উপাদান। হেঁশেলের অন্যতম উপাদান হল চিনি। চা হোক বা অন্য কোনও রান্না, চিনি কমবশি প্রায় সব রান্নায় প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু জীবনের কিছু গুরুতর সমস্যার সমাধান করতেও জরুরি চিনি। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন জ্যোতিষ প্রতিকারে চিনি অপরিহার্য।
জীবনের ৫ সমস্যার প্রতিকারে চিনি
১. ব্যবসার সমস্যা সমাধানে - ব্যবসা মানেই নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেই। কিন্তু এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে ব্যবসায় প্রভূত লাভ করে ওঠা মুশকিল। তাই চিনি মিশিয়ে নিয়মিত পিঁপড়ে ও কাককে খাওয়ানোর নিদান দেওয়া হয় জ্যোতিষশাস্ত্রে। এতে ব্যবসার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।
২. শনির মহাদশা কাটাতে - শনির মহাদশা চললে জীবনে অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় ব্যক্তিগত জীবনে জটিলতা আসে। আর্থিক উন্নতিতে হাজার একটা বাধা দেখা দেয়। পাশাপাশি সমস্যায় জেরবার হয় কেরিয়ারও। শনির মহাদশা কাটাতে তাই পিঁপড়েকে চিনি আর নারকেলের মিশ্রণ খাওয়ানোর নিদান দেওয়া হয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে।
(আরও পড়ুন - ঘরের সামনে পিপল গাছ থাকা শুভ না অশুভ? বাস্তু মতে কী করা উচিত, জেনে নিন প্রতিকার
আরও পড়ুন - বৃশ্চিকে এন্ট্রি বুধ ও মঙ্গলের! টাকার বন্যায় ভাসবে অ্যাকাউন্ট, লাকি লিস্টে কারা?)
৩. জন্মছকে রবি দুর্বল হলে - জন্মছকে রবি দুর্বল হলে পিতা-পুত্রের সম্পর্ক খারাপ হয়, পিতৃসুখ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি স্বাস্থ্যহানিও হতে পারে। জন্মছকে রবি দুর্বল হলে প্রতি রবিবার গঙ্গাজলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে সূর্যদেবের নিকটে নৈবেদ্য হিসেবে অর্পণ করুন।
৪. চাকরি পেতে দেরি হলে - বর্তমান সময়ের নিরিখে চাকরি পেতে দেরি হলে বা সমস্যা হলে তামার ঘটিতে কিছুটা চিনি জল ভরে মাথার কাছে রেখে দিতে হবে শোওয়ার সময়। সারা রাত এভাবেই রাখতে হবে ঘটিটি। পরদিন ইন্টারভিউ থাকলে সেই জল খেয়ে তবেই ইন্টারভিউ দিতে যান।
৫. কাজে সাফল্য না এলে - একের পর এক কাজ ভেস্তে গেলে বা সাফল্য না এলে চিনি ও ঘিয়ের জ্যোতিষ প্রতিকার মেনে দেখতে পারেন। কাজে বেরনোর আগে একবার একটি চামচে অল্প ঘি ও চিনি মিশিয়ে মুখে দিয়ে বেরোন। এতে যেকোনও কাজে সাফল্য আসবেই।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।