রাহু-কেতু কোনও জাতকের ওপর ক্ষুব্ধ হলে, তাঁদের পদে পদে কষ্ট ভোগ করতে হয়। আবার অন্যদিকে কারও প্রতি রাহু-কেতু সন্তুষ্ট থাকলে, তাঁরা সহজেই সুখ লাভ করেন।শাস্ত্র অনুযায়ী, সমস্ত গ্রহ যখন রাহু-কেতুর মধ্যে এসে যায়, তখন কালসর্প যোগ সৃষ্টি হয়। তবে যাঁরা নিজের মা-বাবার সেবা-যত্ন করেন, তাঁদের কালসর্প দোষ প্রভাবিত করতে পারে না। যাঁদের কুষ্ঠিতে কালসর্প যোগ থাকে, তাঁদের কালসর্প দোষের শান্তি করানো উচিত। রাহু শিবভক্ত হওয়ায়, শিব আরাধনা করা উচিত।এ ক্ষেত্রে সোমবার উপোস থেকে শিব পুজো করা উচিত। সন্ধ্যা নাগাদ শিবের সামনে প্রদীপ জ্বেলে সাদা ভোজ্যপদার্থ, যেমন- পায়েস, ছানার সন্দেশ ইত্যাদি প্রসাদ হিসেবে অর্পণ করা উচিত এবং পরে নিজে সেই প্রসাদ গ্রহণ করা উচিত।রাহুর মহাদশা থাকলে, সূর্য, চন্দ্র ও মঙ্গলের ব্যবধান কষ্ট দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন, শিবকে বেলপাতা অর্পণ করে দুগ্ধাভিষেক করলে সুফল পাওয়া যায়।জাতকের জন্মাঙ্কে অবস্থিত রাহু যদি চন্দ্র, সূর্যকে দূষিত করে, তা হলে অবশ্যই শিব আরাধনা করা উচিত। আবার রাহুর মহাদশা অথবা অন্তর-প্রত্যন্তর অত্যন্ত কষ্টজনক হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিবের অভিষেক করা উচিত ও শিবপুরাণের পাঠ করা উচিত। রাহুর দশায় লাগাতার শিব মন্ত্র ওম নমঃ শিবায়ের জপ করা উচিত। এর ফলে কষ্ট লাঘব হয়।