দিল্লির ঐতিহাসিক ভুল! ২০০৮-এ সুযোগ পেয়েও কোহলিকে নেয়নি তারা, জানালেন বিরাট

ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম মরশুম অর্থাৎ ২০০৮ সালের নিলামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) তাকে কেনা ছিল তার জীবনের একটি সব থেকে ভালো মুহূর্ত। তিনি আরও জানান সেই সময় অর্থাৎ আইপিএল-এর প্রথম মরশুমে আরসিবি ছাড়াও, অন্য একটি দল তাকে কিনতে চেয়ে ছিল।৫০ হাজার ডলারে কোহলিকে কিনেছিল আরসিবি। 'দ্য আরসিবি পডকাস্ট'-এ কথা বলতে গিয়ে, ৩৩ বছর বয়সী বিরাট তার জীবনের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক মুহূর্তটি বলেন। একই সময়ে, কোহলি বলেছিলেন যে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজিও তাকে কিনতে আগ্রহী ছিল কিন্তু পরে তিনি ফাস্ট বোলার প্রদীপ সাংওয়ানকে কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।বিরাট বলেন, ‘মানুষের সাথে কথোপকথনে জানা গেল যে দিল্লি দল আমাকে কিনতে আগ্রহী, কিন্তু তারপরে তারা প্রদীপ সাংওয়ানকে বেছে নিল। যিনি একজন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন। সেই সময়ে তিনি আমাদের সেরা বোলার ছিলেন। তাই দিল্লি তাকে নেওয়ারর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কারণ দিল্লি তাদের বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিল।’কোহলি আরও বলেন, ‘তখন আরসিবি আমাকে বেছে নিয়েছিল, যেটা আমার জীবনের এমন একটা প্রভাবশালী মুহূর্ত ছিল, যেটা আমি সেই সময়ে বুঝতে পারিনি, কিন্তু এখন যখন আমি পিছনে ফিরে দেখি, জিনিসগুলি আগের থেকে খুব আলাদা দেখায় এবং আমি চাই না। তার থেকে ভিন্ন কিছু।’কোহলি মালয়েশিয়ায় বিশ্বকাপের সময় অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের সতীর্থদের সাথে আইপিএলের খসড়া দেখার কথা স্মরণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাকে যে পরিমাণে কিনেছিল তা দেখে সবাই পাগল হয়ে গিয়েছিল। বিরাট বলেন, ‘আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য মালয়েশিয়ায় ছিলাম এবং ড্রাফট হচ্ছিল। U-19 একটু ভিন্ন ছিল কারণ আমাদের উপর একটি অর্থ সীমা ছিল। ভারতের হয়ে না খেললে আপনি কত টাকায় নির্বাচন করতে পারবেন তার উপর আমি কোনও সীমাবদ্ধতা দেখতে পাইনি। সেই মুহূর্তটিও আমাদের জন্য চমৎকার ছিল, আমার মনে আছে। তারা যখন এটি প্রকাশ করেছিল তখন আমরা যে পরিমাণ পেয়েছি, আমরা তা বিশ্বাস করতে পারিনি। আমরা একেবারে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম।’ কোহলির নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মোট ১৪ জন খেলোয়াড় নিলামে বাছাই করা হয়েছিল, যার মধ্যে সিদ্ধার্থ কৌল, রবীন্দ্র জাদেজা, মণীশ পান্ডে এবং কোহলি সহ আরও অনেকের নাম ছিল।