ভারতীয় ফুটবল টিমের প্রধান কোচ ইগর স্টিম্যাচ দাবি করেছেন যে, তাঁর দলে ২৬ জন ফুটবলার রয়েছেন। সকলেই প্রথম একাদশে খেলার যোগ্য। যে কারণে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শেষ দু'টি লিগ ম্যাচের সময় ভারতীয় ফুটবল টিমের একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন করে স্টিম্যাচ। তিনি হয়তো দেখাতে চেয়েছিলেন, তাঁর দলে প্রচুর প্রতিভার রয়েছে।
মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে স্টিম্যাচ যে একাদশ খেলিয়েছিলেন, ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে আবার সেই টিমে ন'টি পরিবর্তন করেছিলেন। তা পরের ম্যাচে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচে আবার টিমে ১০টি পরিবর্তন করেন স্টিম্য়াচ। এই তিন ম্যাচের মধ্যে সন্দেশ ঝিঙ্গান দলে একমাত্র ধারাবাহিক খেলোয়াড় ছিলেন।
১৮ জুন, রবিবার ভারত ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে ফের লেবাননের মুখোমুখি হবে। তার আগে স্টিম্যাচ বলেছেন, ‘এটি পরীক্ষানিরীক্ষা করা বা সঠিক প্রথম একাদশ খুঁজে না পাওয়ার বিষয় নয় এটি। আমাদের দলে একাধিক ভালো মানের প্লেয়ার রয়েছে। এবং আমাকে তাদের সকলকেই ব্যবহার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফেরান্দোর চাপ বাড়াতেই কি মোহনবাগানে টিডি হয়ে আসছেন হাবাস?
তিনি যোগ করেছেন, ‘লেবাননের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফুটবলাররা সব কিছু ঠিকঠাক করলেও গোল করার জায়গায় মার খাচ্ছে। অ্যাটার্কিং থার্ডে গিয়ে সঠিক ফাইনাল পাস দেওয়ার কাজটা ফুটবলারদেরই করতে হবে। ফাইনালে লেবানন আক্রমণকে ওদের অর্ধেই থামাতে হবে বিপজ্জনক হতে না দিতে। আশা করছি, ফাইনালে গোল পেতে দেরি হবে না। ৯০ মিনিটেই ম্যাচটা জেতা সম্ভব হবে। গোল করা ছাড়া আমরা আর কিছু ভুল করিনি। মনে হয় না, ফাইনালে বিরাট কোনও পরিবর্তন দরকার। কিন্তু গতি বাড়াতে হবে, আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও আগ্রাসন এবং শক্তি দেখতে চাই, যারা লেবাননের মতো শারীরিক শক্তি দিয়ে খেলা দলের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।’
তবে ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ লিগের শেষ ম্যাচে লেবাননের বিরুদ্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট হওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। অনিরুদ্ধ থাপা সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। পরের দিকে নেমে সুনীল ছেত্রীও গোল করতে পারেননি। একাধিক সুযোগ তৈরি হলেও, সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ফাইনালে সেরকমটা হলে কপালে দুঃখ আছে ভারতের। স্টিম্যাচ বলেছেন, ‘গোলের সামনে পৌঁছে গেলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে খেলোয়াড়দের একটা নির্দেশ দেওয়াই রয়েছে। মাথা ঠান্ডা রেখে বলে চোখ রাখো। বল জালে রাখাটাই তোমার আসল কাজ। তাতেও আমরা গোল করতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ফাইনালের আগে লেবাননের বিরুদ্ধে ০-০ ড্র ভারতের, গোল মিসের বহর চিন্তার রাখবে ইগরকে
লিগের শেষ ম্যাচে সুনীল ছেত্রীকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে আশিক কুরুনিয়ানকে সেন্টার-ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলানো হয়েছিল। এবং তিনি স্টিম্যাচকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হন। এবং উদন্ত সিং-কে বাঁদিকে খেলানো হয়েছিল। স্টিম্যাচ বলেন, ‘আমার ছেলেরা প্রতিটি পজিশনে খেলতে পারে, সেটা লেফট উইং, রাইট উইং, ১০ নম্বর বা সেন্টার ফরোয়ার্ড। এর কারণ তারা একে অপরকে বোঝে। আশিক দুর্দান্ত খেলেছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।