এখনও মোহনবাগানে সই হয়নি রবসন রবিনহোর! ইস্টবেঙ্গলের কাছে তাহলে সুযোগ রয়েছে? কি বলছে রিপোর্ট?

সুপার কাপের মাঝেই কলকাতা ফুটবলে চর্চায় রয়েছে নেইমারের দেশের এক ফুটবলার। তিনি প্রতিবেশি দেশ বসুন্ধরা কিংসে খেলে যাওয়া স্ট্রাইকার রবসন রবিনহো। নেইমারের দেশের এই স্ট্রাইকার ব্রাজিলের সেরা সেরা ফুটবলারদের বিরুদ্ধেই খেলেছেন সেদেশের লিগে। আর বর্তমানে তাঁরই কলকাতায় আসার খবরে জল্পনা ছড়িয়েছে। কেই দাবি করেছে ইতিমধ্যেই কলকাতার এক প্রধানের সঙ্গে চুক্তি চুড়ান্ত হয়ে গেছে তাঁর, আবার অন্য পক্ষের দাবি মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল, এখনও কোনও দলের সঙ্গেই পাকা কথা হয়নি রবিনহোর। এরই মধ্যে জানা গেল বড় খবর। এখনও পর্যন্ত রবসন রবিনহোর সঙ্গে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কোনওরকম চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি, এমনটাই দাবি করেছে রেভস্পোর্টস নামক সংবাদ ওয়েবসাইট। শেষ কয়েকদিনে বারবার দাবি করা হয়েছিল মোহনবাগানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে ব্রাজিলিয়ানের, যদিও Revsportz-র দাবি অনুযায়ী এখনও ব্রাজিলিয়ান তারকার ভারতে আসার ঠিকানা নিশ্চিত হয়নি।বসুন্ধরা কিংসে ব্রুজোর কোচিংয়ে খেলেছেনব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারটি বসুন্ধরা কিংসে খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান কোচ অস্কার ব্রুজোর কোচিংয়ে। ফলে তাঁর প্রতি ব্রুজোর একটা আলাদা স্লেহ রয়েছেই। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে ব্রুজোর কোচিংয়ে বসুন্ধরা কিংস দুবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিল, আর সেই দুই ম্যাচেই গোল ছিল এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের।বাংলাদেশে অশান্তির পর ক্লাব ছাড়েন রবিনহোগতবছর বাংলাদেশে অশান্তি শুরুর পর থেকেই সেদেশে ফুটবলাররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন, বিশেষ করে বিদেশিরা। আর তাঁদের টাকাও বাকি থেকে যায়, অর্থাৎ বেতন ঠিকঠাক পাচ্ছিলেন না। এরপরই রবিনহো বাংলাদেশের ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ব্রাজিলের ক্লাব আগুয়া সান্তায় যোগদান করেন।১৭ ফেব্রুয়ারি নেইমারের বিরুদ্ধে খেলেন রবিনহোসম্প্রতি ব্রাজিলের ক্লাব আগুয়া সান্তার হয়ে তিনি নেইমারের বিরুদ্ধেও খেলেছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি নেইমারের ক্লাব স্যান্তোসের সঙ্গে ম্যাচ ছিল আগুয়া সান্তার। সেখানে ৭৭ মিনিটে রবসন রবিনহো মাঠে নামেন, এরপর ম্যাচে ৮৫ মিনিটে নেইমার মাঠ থেকে উঠে যান। ফলে ব্রাজিলের সুপারস্টার নেইমারের বিরুদ্ধেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রবসনের। এহেন রবসনকেই পেতে মরিয়া দুই প্রধান।বাগানে তিন স্ট্রাইকার রয়েছেজেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোস তিন স্ট্রাইকার রয়েছেন মোহনবাগানে। ফলে চতুর্থ স্ট্রাইকার নিলে কাকে ছাড়া হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এদিকে ইস্টবেঙ্গলে ক্লেইটন সিলভা ছেড়ে দেওয়ায়, মেসি এবং দিমি রয়েছেন। তাই ব্রুজোর বিশ্বস্ত সৈনিক রবসন এলে তাঁদের আক্রমণ অনেকটাই শক্তিশালী হবে, তা বলাই যায়। আর যেহেতু এখন জানা যাচ্ছে, মোহনবাগানের সঙ্গে রবসনের কোনও চূড়ান্ত চুক্তি সই হয়নি, তাই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও আপাতত স্বস্তি পেতে পারে, কারণ তাঁদের কাছেও সুযোগ থাকছে রবসনকে দলে নেওয়ার।