ক্রিকেটের ময়দানে আম্পায়ারদের ভুলচুক কমাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে দিন দিন। এমন পরিস্থিতিতে তামিলানড়ু প্রিমিয়র লিগে এমন এক ভুল সিদ্ধান্ত চোখে পড়ল ক্রিকেটপ্রেমীদের, সাম্প্রতিক সময়ে তেমন কোনও ঘটনা দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ।
স্টাম্প-আউট, রান-আউটের ক্ষেত্রে আম্পায়াররা নূন্যতম আবেদনেই তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিয়ে নিশ্চিত হয়ে যান ব্যাটসম্যান আউট ছিলেন কিনা। তবে কোবাই কিংস বনাম সালেম স্পার্টান্স ম্যাচে এস সুজয় যেভাবে নিশ্চিত আউট হয়েও বেঁচে গেলেন, তা দৃষ্টিকটু লাগবে নিশ্চিত।
সালেমে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কোবাই কিংস। সুরেশ কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন এস সুজয়। তৃতীয় ওভারে অভিষেক তানওয়ারের প্রথম বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সুরেশ। ব্যাট করতে নামেন সাই সুদর্শন। তিনি মাঠে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন এবং তার পরেই এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন।
প্রথম ইনিংসের ২.৪ ওভারে তানওয়ারের বল অফ-সাইডে ঠেলে দিয়েই এক রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন সুজয়। ফিল্ডার বল ধরে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের স্টাম্পে ছুঁড়ে মারেন। ব্যাটসম্যান সুজয় ফিল্ডারের ছোঁড়া বলের আঘাত এড়াতে লাফিয়ে ওঠেন ক্রিজের বাইরে থেকেই। তিনি যখন শূন্য রয়েছেন, সেই অবস্থায় বল স্টাম্প ভেঙে দেয়। তার পরে ব্যাটসম্যানের পা পড়ে ক্রিজে।
সুতরাং, ব্যাট অথবা পা একবারের জন্যও ক্রিজ না ছোঁয়ায় এক্ষেত্রে সুজয়ের রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার কথা ছিল। তবে আম্পায়ার এক্ষেত্রে রিভিউয়ের আবেদন জানাননি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। ফিল্ডাররাও তেমন একটা উৎসাহ দেখাননি আউট চেয়ে। সুতরাং, ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় আউট হয়েও বেঁচে যান সুজয়।
শেষমেশ ৪৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন সুজয়। সাই সুদর্শন করেন ৪১ রান। ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাম অরবিন্দ। ক্যাপ্টেন শাহরুখ খান ১১ রানের যোগদান রাখেন। কোবাই কিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।