চলতি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ান ডে সিরিজে পরপর ২ ম্যাচে অভিনব এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্রিকেটবিশ্ব। প্রায় ১০০ বছর পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফের ঘটল এমন ঘটনা।
আধুনিক ক্রিকেটে তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার মিশেলের কথা বারবার বলা হয়ে থাকে। তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা কতটা দাম পায়, তার আদর্শ উদাহরণ মিলল চলতি ওয়ান ডে সিরিজে।
কেয়ার্নসে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ দু'দলের হয়ে যে ২২ জন ক্রিকেটার মাঠে নামেন, তাঁদের মধ্যে ২০ জনের বয়স ৩০ বছর বা তারও বেশি। সুতরাং, রসিকতা করে এটিকে 'বুড়োদের' ম্যাচও বলা চলে।
শেষবার এমনটা চোখে পড়েছিল ৯৬ বছর আগে। ১৯২৬ সালে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে দু'দলের যে ২২ জন ক্রিকেটার মাঠে নেমেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২০ জনের বয়স ছিল ৩০ বছর বা তারও বেশি। সুতরাং, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড চলতি ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছুঁয়ে ফেলে ৯৬ বছর আগের রেকর্ড।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভেঙে যায় সেই রেকর্ড। বৃহস্পতিবার কেয়ার্নসে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যে ২২ জন ক্রিকেটার মাঠে নামেন, তাঁদের মধ্যে কেবল ১ জন ক্রিকেটারের বয়স ৩০-এর কম। অস্ট্রেলিয়ান মার্নাস ল্যাবুশান ছাড়া বাকি ২১ জন ক্রিকেটারের বয়স ৩০ বা তারও বেশি। এর আগে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমনটা কখনও দেখা যায়নি। সুতরাং, কেয়ার্নসে ভেঙে যায় প্রায় এক শতাব্দী পুরনো নজির।
অস্ট্রেলিয়ার ১১ জন ক্রিকেটারের বয়স:-১. ডেভিড ওয়ার্নার- ৩৫ বছর২. অ্যারন ফিঞ্চ- ৩৫ বছর৩. স্টিভ স্মিথ- ৩৩ বছর৪. মার্নাস ল্যাবুশান- ২৮ বছর৫. নার্কাস স্টইনিস- ৩৩ বছর৬. অ্যালেক্স ক্যারি- ৩১ বছর৭. গ্লেন ম্য়ক্সওয়েল- ৩৩ বছর৮. সিয়ান অ্যাবট- ৩০ বছর৯. মিচেল স্টার্ক- ৩২ বছর১০. অ্যাডাম জাম্পা- ৩০ বছর১১. জোস হ্যাডেলউড- ৩১ বছর
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।