বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকাররে গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বেও রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলের সময় এই নাহিদকে নিয়ে নানাসময়ে চর্চা হত। এবার সেই নাহিদ ইসলাম এক অদ্ভূত যুক্তি খাড়া করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে নিজের বক্তব্য তিনি পেশ করেছেন। সেখানে তিনি মূলত বলতে চেয়েছেন বাংলাদেশের বহু মানুষের কেন এত ভারত বিদ্বেষ?
নাহিদ ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে একটা ক্ষোভ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে যে ফ্য়াসিস্ট সরকার ছিল সেই সরকারকে ভারত নিঃশর্তভাবে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। গুম খুন করছে। ভোটচুরি করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। সর্বশেষ এই জুলাই উত্থানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। শিশু হত্যা করেছে। কিন্তু তারপরেও ভারতের পক্ষ থেকে এই সব যে হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। বরং সেই হত্যাকারীর প্রধানকেই তাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে। মানুষের ভেতর ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। তারপরেও আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই, কোনও দেশ নিয়ে আমাদের জায়গা থেকে আমরা বিদ্বেষ ছড়াব না। কোনও রাষ্ট্রের পতাকাকে আমরা অবমাননা করব না। ভারতেরও উচিত এই ক্ষোভ দূরীকরণে তাদের নিজেদের জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যে বক্তব্য না ছড়িয়ে বরং বাংলাদেশে যে নতুন করে পুনর্গঠন হচ্ছে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ, সেই জায়গায় এগিয়ে আসা।’ বলছেন নাহিদ ইসলাম।
এখানেই প্রশ্ন মানবাধিকার রক্ষার কথা বলছেন নাহিদ। অথচ সেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নেমে আসছে অত্যাচার। একের পর এক হিন্দু বাড়িতে হামলার খবর সামনে আসছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ। তারপরেও তিনি বলছেন মানবাধিকার রক্ষার কথা। এমনকী নানা সাফাই দিচ্ছেন তিনি।
এর আগে তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারতের শাসক বিভাজনের রাজনীতি করছে। বাংলাদেশ বিরোধী একটা বিষয়কে সামনে আনছে। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসমের সঙ্গে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রেখে এসেছে। বাংলাদেশের উত্থানের সময় কলকাতা ও দিল্লির পডুয়ারা আমাদের সংহতি জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। ভারতের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষরা আমাদের বন্ধু। কিন্তু ভারতের শাসক ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতিকে দেখে না।’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে নানা যুক্তি সাজানো শুরু করেছেন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টারা।