ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫ পাস হওয়ার পর সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য একটি রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈন আজ সেই রিট পিটিশনের বিষয়ে উল্লেখ করেন শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চের সামনে এই আবেদনের উল্লেখ করেন বিষ্ণু শঙ্কর জৈন। বিষয়টি আগামিকাল শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যাতে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্যে নির্দেশ দেয়। (আরও পড়ুন: ১০ দিন পর স্কুল খুলল ধুলিয়ানে, ক্ষত ভুলে এখন কেমন আছে মুর্শিদাবাদ?)
আরও পড়ুন: গেলেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা, বন্ধ হল মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের আশ্রয় শিবির
এদিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অবশ্য এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। আজ ১০ দিন পর সেখানে স্কুল খুলেছে। এদিকে মালদার স্কুলের আশ্রয় শিবিরে যে সব পরিবর ছিল, তাদের গতকালই মুর্শিদাবাদে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি আনন্দ রায় জানান, এখন সেখানে পরিস্থিতি শান্ত। সবই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ওয়াকফের নামে যে হিংসা ও তাণ্ডবলীলা চলেছিল, তাতে ১৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দু নেতা নাকি খুন হননি, দাবি পুলিশের, তাহলে কীভাবে মারা গেলেন ভবেশ?)
আরও পড়ুন: দলের সভাপতির কথা অমান্য করে বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি বিধায়ক বললেন...
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ। (আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে কর্ণি সেনার রাজ্য সভাপতিকে খুন, দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠে পড়ে দেহ)
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।