যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টিনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনই অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বোমা ফাটিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এই আবহে ট্রাম্পের সঙ্গে এপস্টিনের কিছু এক্সক্লুসিভ ছবি প্রকাশ করেছে সিএনএন।যা এই বিতর্কের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।নগ্ন মহিলার ছবি আঁকা জন্মদিনের চিঠি, পার্টিতে হাস্যোজ্জ্বল দৃশ্য, ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ-সব মিলে তাঁদের বন্ধুত্ব যেন হলিউডি স্ক্রিপ্ট।
সিএনএন-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মার্লা ম্যাপলসের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন এপস্টিন। এবার সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও খবর এতদিন প্রকাশ্যে আসেননি। তারপরেও দীর্ঘদিন তাঁদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। ১৯৯৯ সালে ভিক্টোরিয়া'স সিক্রেট ফ্যাশন শোতেও ট্রাম্প এবং এপস্টিনকে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে।আর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তরজা শুরু হয়েছে। এরমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন এপস্টিনের প্রাক্তন প্রেমিকা। স্টেসি উইলিয়ামসের দাবি, ১৯৯৩ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন এপস্টিনেও। সেখানেই ট্রাম্প তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। স্পর্শ করেন তাঁর স্তন, নিতম্ব। স্টেসির দাবি, সেই সময় এপস্টিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের।
আরও পড়ুন-ভিনদেশে ফের বর্ণবিদ্বেষ! ডাবলিনে ভারতীয়কে বেধড়ক মারধর, প্যান্ট খুলে নিল দুষ্কৃতীরা
যদিও সিএনএন-র এই প্রতিবেদনকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম 'ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'-এ এপস্টিনের সঙ্গে ট্রাম্পের নাম জড়িয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। একই সঙ্গে এপস্টিনের ফাইলের কিছু অংশ প্রকাশের জন্য সম্প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে নিউ ইয়র্কের আদালতে। এপস্টিনের ফাইল প্রকাশের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। ওই ফাইল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ট্রাম্প প্রশাসন অস্বস্তিতে। অভিযোগ, একসময় এপস্টিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন-ভিনদেশে ফের বর্ণবিদ্বেষ! ডাবলিনে ভারতীয়কে বেধড়ক মারধর, প্যান্ট খুলে নিল দুষ্কৃতীরা
প্রসঙ্গত, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত এপস্টিনের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালে। তিনি জেলে আত্মহত্যা করেছিলেন। এই এপস্টিনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেই দাবি। যদিও ট্রাম্প তা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন। পরে চাপে পড়ে একে অপরকে চিনতেন বলে জানালেও যেভাবে ট্রাম্প-এপস্টিন সম্পর্ক নিয়ে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে হোয়াইট হাউস।