এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ছাতরায়। করোনাভাইরাস ঠেকাতে এখন মাস্ক পরা কার্যত বাধ্যতামূলক। সেখানে মাস্ক না পরে মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন এক সেনা জওয়ান। আর তাঁকে মাস্ক কেন পরা নেই? এই প্রশ্ন তুলে পথ আটকান তিন পুলিশ কনস্টেবল। তখন সেনা জওয়ান তাড়া আছে বলে বেরিয়ে যেতে চায়। কিন্তু কোনও কথা শুনতে নারাজ কনস্টেবলরা। এই নিয়ে বচসা বাধে। তা থেকে হাতাহাতির পর্যায়ে যেতেই ওই সেনা জওয়ানকে কিল–চড় মারা হয় বলে অভিযোগ।এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। ছাতরা জেলায় এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেরই মত, আইন সবার জন্য সমান। সেখানে তা না মানলে তো পুলিশ ব্যবস্থা নেবেই। আবার অনেকে বলছেন, পুলিশ ব্যবস্থা হিসাবে অভিযোগ দায়ের করতে পারত। কাউকে মারা ঠিক নয়।ঠিক কী ঘটেছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কর্মাচক এলাকায়। এই এলাকা ময়ূরহন্দ থানার অন্তর্গত ছাতরা জেলায়। সেখান দিয়ে এক সেনা জওয়ান যাচ্ছিলেন। কিন্তু মুখে মাস্ক ছিল না। তাই তাঁকে থামানো হয়। সেনা জওয়ান জানান, ময়ূরহন্দ জেলার বিডিও স্পেশাল ড্রাইভে নেমেছেন। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে আটকানো হয়। তখন বচলা বেধে যায়। তা থেকেই ওই জোয়ানকে তিনজন মিলে মারধর করে।এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তখন ছাতরার পুলিশ সুপার রাকেশ রঞ্জন তিনজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেন। এই তিনজনের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দু’পক্ষেরই দোষ আছে। তবে পুলিশের এমন আচরণ করা ঠিক নয়।’