পশুদের উপর কতটা হিংসা নামিয়ে আনা যায় তা এবার দেখা গেল তেলাঙ্গানার এড্ডুমেলারাম গ্রামে। তেলাঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি এলাকায় এবার নির্মম, হিংস্র এবং শিহরণ জাগানোর মতো ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ ৪০ ফুট উঁচু সেতু থেকে সরাসরি ২১টি সারমেয়কে ছুঁড়ে ফেলা হল। এভাবেই কুকুরগুলিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাই এখন জনমানসে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এতটা হিংস্র কেউ হতে পারে? কেমন করে এমন কাজ করল? এইসব প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে তেলাঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি এলাকায় এমন সারমেয়দের উদ্ধার করা হয়েছে। তখন দেখা যায়, হাত–পা এবং মুখ বেঁধে ২১টি সারমেয়কে ৪০ ফুট উঁচু সেতুর উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। আরও ১১টি সারমেয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। মানুষ যে এতটা নিষ্ঠুর, নির্মম হতে পারে এই ঘটনা প্রকাশ্যে না এলে কেউ জানতেও পারত না। এই গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন আমিশা রজনী। তার পর থেকেই গোটা তেলাঙ্গানায় তোলপাড় হতে শুরু করেছে। একসঙ্গে এতগুলি কুকুরকে হত্যা করার ঘটনায় প্রশাসনও চাপে পড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘এইচএমপিভি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না’, গঙ্গাসাগর থেকে অভয়–বার্তা মমতার
অন্যদিকে এই আলোড়ন ফেলা ঘটনা সামনে আসে জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ। যখন একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার নাগরিকরা কান্নারও আওয়াজ শুনতে পেলেন। সেই আওয়াজ শুনে সন্ধান করতে গিয়েই এমন ঘটনার সাক্ষী হন তাঁরা। এই নাগরিকদের মধ্যে পৃথিবী পানেরু সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এই নির্মম দৃশ্য আবিষ্কার করেছি। যেখানে ওই আক্রান্ত, আহত কুকুরগুলির দেহ পচন ধরতে শুরু করেছিল। একাধিক কুকুর মারা গিয়েছে প্রচণ্ড আঘাত এবং শীতের প্রকোপে। সেখানে যে দু’একজন জীবিত ছিল তাদের কান্নার শব্দই এই নির্মমতাকে ফাঁস করেছে।’
এছাড়া পুলিশকে এই ঘটনা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার সদস্য পৃথিবী পানেরু। এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর শোরগোল পড়েছে তেলাঙ্গানায়। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে সেটা এখনও অজ্ঞাতই রয়েছে। পৃথিবী পানেরুর বক্তব্য, ‘আমরা সাহায্য চেয়েছি অ্যানিমাল ওয়ারিয়রস কনসারভেশন সোসাইটির পক্ষ থেকে। আর হায়দরাবাদের পশু প্রেমি সংগঠনের কাছ থেকেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার পরিশ্রমে ১১টি জখম সারমেয়কে আশ্রয় দেওয়া গিয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। তেলাঙ্গানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’