এইচএমপিভি নিয়ে এখন গোটা বিশ্ব চিন্তিত। আবার চিন থেকে একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একটা করোনাভাইরাসে বিশ্বের কম ক্ষতি হয়নি। বহু মানুষের জীবন চলে গিয়েছে। সেখানে আবার একটা ভাইরাস চিন্তায় ফেলেছে সকলকে। আরও বেশি চিন্তার কারণ হয়েছে আজকে। যেহেতু ভারতের তিনজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তার মধ্যে বাংলার শিশুও আছে। তাই আতঙ্কে কাঁটা হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গুজবে কান না দিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার অভয় বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আতঙ্কের কিছু নেই বলেও গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকরা এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কারণ গঙ্গাসাগর মেলা সামনে। সেখানে গেলে ভিড় থেকে এইচএমপিভি ছড়াবে না তো? এই প্রশ্ন দেখা দেয় অনেকের মধ্যে। আর তা নিয়ে আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর দরকার নেই। এই বিষয়ে বৈঠক করে মুখ্যসচিব গাইডলাইন ঠিক করেছেন। অন্য কোনও গাইডলাইন এলে রাজ্য সরকার সেটাও মানবে। রাজ্য প্রশাসন সবসময় মানুষের সেবায় তৈরি রয়েছে।’
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারের বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এখন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়, আনসার জঙ্গিদের নাশকতার ছক
এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে নানা তথ্য ইতিমধ্যেই চাউর হতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম তথ্য দেওয়া শুরু হয়েছে এই সংক্রমণকে নিয়ে। এই ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ২০০১ সালে। নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০০১ সালে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রে প্রথম এই ভাইরাসের হদিশ পান বলে সূত্রের খবর। যদিও ২৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই ভাইরাসের কোনও টিকা বের হয়নি। তবে সেরোলজিক্যাল গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেটানিউমো–ভাইরাস কমপক্ষে ৬০ বছর ধরে পৃথিবীতে আছে। সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের প্যাথোজেন হিসাবে সেটা সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। মেটানিউমোভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি এবং কাশি।
এই এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যেকার আতঙ্ক কাটাতে পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও ডাঃ সুদীপ্ত মিত্র সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। ডাঃ সুদীপ্ত মিত্র বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক বছরই পাই। শীতকালে দু’চারজন রোগী আসে। অত্যন্ত সাধারণ ভাইরাস। এটাতে কোনও অসুবিধা নেই। বাচ্চা এবং বয়স্কদের হয়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ যদি একবার হয় তাহলে ১০–১৫ বছর ইমিউনিটি থাকে। মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে না এই ভাইরাস সংক্রমণে।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতে এই মাসে মোট ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। নভেম্বর মাসে একটি শিশু আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও এখন সে সুস্থ।