পরীক্ষা দিচ্ছিল ছাত্র। কিন্তু পরীক্ষার মাঝপথেই তাকে বলা হয়েছিল যা মুরগি কাট। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল পড়ে। আপাতত সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শিক্ষকের ওই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন ছাত্রকে মাঝপথে তুলে এভাবে মুরগি কাটার কাজ দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে উঠছে বড় অভিযোগ।
রাজস্থানের উদয়পুর জেলার নবম শ্রেণির ওই ছাত্র। তাকে মুরগির চামড়া ছাড়ানো,পরিষ্কার করার জন্য পরীক্ষার মাঝপথে উঠে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মোহনলাল ডোডা নামে ওই শিক্ষক মুরগিটাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
মোহনলাল ডোডার বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ ওঠায় কোটাডার স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যার ফলে তারা মন্ত্রী বাবুলাল খারারির কাছে অভিযোগ জানাতে যান।
মহকুমা আধিকারিক হাসমুখ কুমারকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
অভিযোগটি সামনে আসায় এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে কোটাডা এলাকার স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা এগিয়ে এসে দাবি করে যে ডোডা প্রায় এক মাস আগে স্কুলের রাঁধুনিকে ডিউটি থেকে বরখাস্ত করেছেন।
এর জেরে স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুলে খাবার পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।