অফিস পাড়ায় বাবার সঙ্গে সুবেশা এক তন্বী খাবার পরিবেশন করছেন, রান্না করছেন। এই ছবিটা শহরবাসীর কাছে একেবারেই অচেনা ঠেকেছিল। আর যা কিছু একটু আলাদা সেটা নিয়ে মানুষের আগ্রহ বরাবর বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ফুড ব্লগার বা ফেসবুক সেলেবদের হাত ধরে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে বেশ নাম করে ফেলে মেয়েটি। বাড়তে থাকে দোকানের ভিড়। কখনও তাঁর দোকানের খাবারের রেট, কখনও মেনু তো কখনও আবার কারও সঙ্গে সমস্যা, ঝামেলার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে। সেই থেকেই সেই মেয়েটি নেটিজেনদের কাছে ভাইরাল নন্দিনী দিদি হয়ে ওঠে। সেই খ্যাতির হাত ধরে পাইস হোটেল থেকে নিজের হোটেল বানিয়েছেন। সম্প্রতি মনের মানুষের সঙ্গে বিয়েও সেরেছেন। কিন্তু এদিন কী এমন ঘটালেন যার জন্য তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হল ভাইরাল নন্দিনী দিদিকে?
আরও পড়ুন: 'আদ্যোপান্ত সিঙ্গল' বলে দাবি, এদিকে চাহালের সঙ্গে বিমানবন্দরে মাহভাশ! জুটিতে চললেন কোথায়?
কী ঘটেছে?
এদিন এবার বসিরহাট নামক একটি পেজের তরফে একটি ছবি প্রক্ষে আনা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি স্টলে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করছেন নন্দিনী দিদি। না, এটা তাঁর পাইস হোটেল নয়। নেই ভাত, ডাল, ইত্যাদি। বরং বিকেলের মুখরোচক খাবার আছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নন্দিনী দিদির হাতে পকোড়া জাতীয় কিছুর একটা প্লেট ধরা। আর সামনে রাখা বিভিন্ন ধরনের চপ। একটির মধ্যে লেখা ' ডিমের ডেভিল। ৬০ টাকা।' আর সেটা দেখেই চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। একটা ডিমের ডেভিলের দাম ৬০ টাকা! সেটা নিয়েই চলছে মশকরা, বিদ্রূপ। বইছে কটাক্ষের বন্যা।
এদিন এই ছবি শেয়ার করে লেখা হয়, 'এগ- ডেভিল ৬০ টাকা। বলছি নন্দিনী দি, এটা কি ঘোড়ার ডিমের ডেভিল?' কেউ তাতে লিখেছেন, 'উটেরও হতে পারে।' আরেকজন লিখেছেন, 'অনেক কষ্টে পাড়তে হয়েছে ওকে ডিম। দাম তো হবেই। সব হিংসুটের দল।' কেউ আবার মশকরা করে লিখেছেন, '৪ আনার মুরগিকে ১০০ আনা ভাউ দিলে এর চেয়ে ভালো আর কি হবে!'
আরও পড়ুন: মিমিকে না-পসন্দ, বায়োপিকে ডোনার চরিত্রে কাকে ভাবছেন সৌরভ?
যদিও কেউ কেউ আবার নন্দিনী দিদির পক্ষ নিয়েও কথা বলেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'যা দেখলাম গোটা কমেন্ট বক্স মাটন কিমা দিয়ে ডিমের ডেভিল খায়নি। তাই দাম শুনে আঁতকে ওঠেছে।' কেউ আবার লিখেছেন, 'এই মেলাগুলোতে বসতে অনেক টাকা দিতে হয়, হয়তো সেই জন্যই এত দাম।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'মটন কিমা দিয়ে বানায় নিশ্চয়ই না হলে এত দাম হতো না।'