'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও আপস করা হচ্ছে না।' ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতেই বার্তা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। অপারেশন সিঁদুরের পরেই ভারতের সীমান্তে বাড়ছে পাক আগ্রাসন। এই আবহে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঘোষণা করেন, 'আজ বিকেল ৫টা থেকে ভারত আর পাকিস্তান সবধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এস জয়শংকর বলেন, 'আজ ভারত এবং পাকিস্তান সামরিক অভিযান এবং গোলাগুলি বন্ধ করার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ায় এসেছে।' এরপরেই তাঁর বার্তা, 'ভারত ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান নিয়ে এসেছে। এটি অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন-আমরা দায়িত্বশীলই! পাকের সঙ্গে আমেরিকার আলোচনা বসার কথা বলতেই বার্তা জয়শংকরের
তবে ভারতীয় বিদেশ সচিবের সাংবাদিক বৈঠকের আগেই ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ায় উভয় দেশকে অভিনন্দন।'
ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক মিনিট পরেই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে, 'পাকিস্তান এবং ভারত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান সর্বদা তার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার সঙ্গে আপস না করে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।'
এরপরে ভারতের তরফে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সংঘর্ষ বিরতির কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, শনিবার দুপুরে ভারতীয় সেনার ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনকে ফোন করেন পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন। তারপর দু’পক্ষই গোলাগুলি এবং সামরিক অভিযান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে হতেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফোন করে সংঘাত মেটাতে এক প্রকার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও।
আরও পড়ুন-আমরা দায়িত্বশীলই! পাকের সঙ্গে আমেরিকার আলোচনা বসার কথা বলতেই বার্তা জয়শংকরের
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই সীমান্ত এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ চালিয়েছে পাক সেনা। টানা তিন রাত পাকিস্তান ভারতের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে চলেছে। ভারতও পাল্টা প্রতিরোধ করেছে। শনিবারও জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে প্রবল গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। যার জেরে কাশ্মীরে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে।