ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ইন্দোরের একটি নদী থেকে একটি দেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন এবং দুটি তাজা .৩২ ক্যালিবারের গুলি উদ্ধার করল মেঘালয় পুলিশের একটি দল। এই হত্যাকাণ্ডের দুই প্রধান অভিযুক্ত – রাজার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এই অপরাধে তাদের জড়িত থাকার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে বলে খবর। তারপরই সামনে এল এই আপডেট।
‘আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারছি।’ পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রমাণ একত্রিত করে একটি জোরদার মামলা করছি।
খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সোনম, রাজ এবং আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান এবং আনন্দ কুর্মিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলা হতে পারে। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ফ্ল্যাটের মালিক লোকেন্দ্র সিং তোমর, সম্পত্তি ব্যবসায়ী সিলোম জেমস এবং ইন্দোরের হীরা বাগ কলোনির বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষী বল্লা আহিরওয়ারকে। আগামীকাল তাদের প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে জেমসের দেওয়া লিডের উপর ভিত্তি করে কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া জেমসের হুন্ডাই আই১০ গাড়ির ভিতর থেকে ৫০ হাজার টাকা লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়, যা তিনি রাজ কুশওয়াহার ল্যাপটপ ব্যাগ থেকে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সায়েম বলেন, ল্যাপটপের ব্যাগটি আগে পুড়ে গিয়েছিল, ল্যাপটপটি রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছে। আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, প্রমাণ লোপাট, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং বেআইনি অস্ত্র ও গুলি রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মেঘালয়ের হোমস্টে থেকে নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পর গিরিখাত থেকে ২৯ বছরের রঘুবংশীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। গত ১১ মে ইন্দোরে সোনমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল এবং ২২ মে মধুচন্দ্রিমার জন্য তারা মেঘালয়ের সোহরাতে (চেরাপুঞ্জি) পৌঁছন। পরের দিন, ২৩ মে, রাজাকে সোনম ওয়েই সাওডং ভিউপয়েন্টে নিয়ে যায় এবং তিনজন ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করায় বলে অভিযোগ। সোনম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।২ জুন জলপ্রপাতের পার্কিং লটের কাছে একটি গিরিখাত থেকে রাজার পচাগলা দেহ পাওয়া যায়।