ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ড সেন্টারের প্রধান আলী শাদমানি গত সপ্তাহে ইজরায়েলি হামলায় আহত হওয়ার জেরে মারা গিয়েছেন। ইরানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আইআরজিসি মেজর জেনারেলকে হত্যার 'কঠোর প্রতিশোধ' নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত নতুন আরোপিত যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে এই আপডেট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১২ দিন ধরে চলা ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের বিরতি ঘটেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং ইজরায়েল ইরানে আর হামলা চালাবে না এবং তেহরানও তার পরমাণু কর্মসূচি পুনর্গঠন করবে না। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী গত সপ্তাহে দাবি করেছিল যে তারা তেহরানের কেন্দ্রস্থলে একটি কমান্ড সেন্টারে রাতভর বিমান চালিয়ে আলী শাদমানিকে হত্যা করেছে। ইজরায়েল শাদমানিকে ইরানের যুদ্ধকালীন চিফ অব স্টাফ এবং সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক কমান্ডার হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। শাদমানির পূর্বসূরি গোলাম আলী রশিদ ইসরায়েলের প্রাথমিক অতর্কিত হামলায় নিহত হওয়ার মাত্র চার দিন পর ১৭ জুন ইজরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী এই দাবি করল।
তাসনিম নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, রশিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন আলি শাদমানি। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন শাদমানি। আইডিএফ জানিয়েছে, সাদমানি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জরুরি কমান্ডের কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার কমান্ডের অধীনে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এবং ইরানি সেনাবাহিনী উভয়ই ছিলেন।
আইডিএফ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জানায়, 'অপারেশন 'রাইজিং লায়ন'-এর উদ্বোধনী হামলায় তার পূর্বসূরি আলা আলী রশিদ নিহত হওয়ার পর অভিযানের শুরুতে তাকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শাদমানির নেতৃত্বে খাতাম আল-আম্বিয়া কমান্ড সেন্টার যুদ্ধ পরিচালনা এবং ইরানের ফায়ারপাওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য দায়বদ্ধ ছিল বলে জানা গেছে। শাদমানিকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ড সেন্টারের নতুন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর খামেনি তাকে কৌশলগত ও অপারেশনাল পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।