কখনও এনডিএ সরকারের বিদেশনীতির প্রশংসা। কখনও আবার প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা। এসবের জেরে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের নতুন করে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি নিজে থেকে দল ছাড়বেন, নাকি দল তাঁকে বহিষ্কার করবে, আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে দুই সম্ভাবনা। আর সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কী বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি?
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং তারপর ভারতের পাল্টা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এই কর্মসূচিতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছিলেন সাংসদ শশী থারুর। আর এই সফরে একাধিক দেশ থেকে থারুরের মোদী-বন্দনা শোনা গিয়েছিল।
এমনকী ভারতে ফিরেও কেন্দ্রীয় সরকারের দরাজ প্রশংসাও করেন কংগ্রেস নেতা। তবে এবার শশীর মোদী-প্রীতি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করল কংগ্রেসের কোর কমিটি। শশী থারুরের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্পষ্ট ইঙ্গিত দলেন যে, দল হয়তো আর থারুরের অবস্থান মেনে নিতে রাজি নয়। তিনি বলেন, 'আমাদের জন্য সবার আগে দেশ। কিন্তু কারও কারও জন্য মোদীই সবার আগে। যার যা খুশি সে লিখতেই পারে।' তাঁর এই কটাক্ষে থারুরকে কার্যত মোদীবাদী বলে অভিহিত করা হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।
আরও পড়ুন-ইরান থেকে তেল কিনতে পারে চিন! মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির পরেই ইউটার্ন ট্রাম্পের
আসলে সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে থারুর লিখেছিলেন, 'তেজ, গতিশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তি-প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই তিনটি গুণ ভারতের জন্য সম্পদস্বরূপ।' শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতের কূটনীতি আরও সুসংবদ্ধ ও কার্যকর হচ্ছে।' সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিদেশে গিয়ে তিনি এসব উপলব্ধি করেছেন। থারুরের এই মন্তব্য কংগ্রেসে চরম অস্বস্তির জন্ম দিয়েছে। সেই থেকেই শুরু হয় সমালোচনা।
আরও পড়ুন-ইরান থেকে তেল কিনতে পারে চিন! মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির পরেই ইউটার্ন ট্রাম্পের
উল্লেখ্য, শশী এআইসিসি সদস্য। এক সময় কংগ্রেস সভাপতির পদপ্রার্থী হিসেবে নাম তুলেছিলেন থারুর। সেই শশী থারুর বর্তমানে দলের অবস্থান থেকে এত দূরে সরে গেছেন যে, তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।যদিও তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিতে যোগদানের কোনও তাড়না তাঁর নেই।তবে আগামী দিনে তিনি যদি হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে লাফিয়ে পড়েন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।