ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলার রহস্য এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এখনও পর্যন্ত পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে।এই আবহে মেঘালয় পুলিশ জেরার উঠে এসেছে সোনম রঘুবংশীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রাজ সিং কুশওয়াহার।ধৃত দুই মূল অভিযুক্ত নিজেদের সম্পর্কের কথা কবুল করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া, জারি সতর্কতা)
আরও পড়ুন: ২৫% বকেয়া ডিএ মেটাবে না সরকার? ঘটনাক্রমে এল নয়া মোড়, মাথায় হাত পড়বে কর্মীদের?
পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে মেঘালয় মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সোনম। পরে রাজও অপরাধের কথা কবুল করেছে। তবে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এতদিন কেউই তাঁরা মুখ খোলেনি। সে ক্ষেত্রে এবার বড় সাফল্য পেয়েছে মেঘালয় পুলিশ।পূর্ব খাসি পাহাড়ের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম বলেন, ‘সোনম এবং রাজ, দু’জনেই নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ অপরাধস্থলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে। তবে তদন্তের এই পর্যায়ে অভিযুক্তদের নার্কো পরীক্ষা করানোর কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।’ তিনি আরও বলেন, সাধারণত প্রমাণের অভাব হলে বা কোনও প্রমাণ না থাকলেই নার্কো পরীক্ষা করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ নার্কো পরীক্ষার ফলাফলও আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। (আরও পড়ুন: ইরান নিয়ে অবস্থান 'বদল', মার্কিন হামলার 'সমালোচনায়' ভারত)
এর আগে রাজা রঘুবংশীর পরিবার সোনম রঘুবংশীর নার্কো পরীক্ষার আবেদন করেছিল।কিন্তু দুই মূল অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষার দাবি খারিজ করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।পুলিশ জানিয়েছে, রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সোনমের সম্পর্কে অসন্তুষ্ট ছিল তাঁর পরিবার। তাই ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে সোনমের বিয়ে ঠিক করা হয়। যার জেরে ক্ষুব্ধ সোনম পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল যে রাজার সঙ্গে বিয়ে দিলে গুরুতর পরিণতি হবে।পুলিশের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের এবং ষড়যন্ত্রকারীদের সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে সোনম রঘুবংশী, রাজ কুশওয়াহা এবং তিন সুপারি কিলার বন্ধু।
ঘটনার বিবরণ
গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশী। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনার ১১ দিন পর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। তবে খোঁজ মেলেনি সোনমের। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর, সোনমকে মেঘালয় থেকে ১,২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ‘ধাবা’ থেকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বাড়িতে ফোন করেন সোনম। সেই ফোনের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। এছাড়া এই হত্যায় সাহায্য করার জন্য আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান এবং আনন্দ কুর্মি নামে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।