Russia-Ukraine Crisis: রবিবারের 'যুদ্ধ' খুবই কঠিন ছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ, বলল ইউক্রেন

রবিবারের লড়াই খুবই কঠিন ছিল বলে জানাল ইউক্রেন। সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রবিবারের লড়াই ছিল সবচেয়ে কঠিন। আকাশ ও মাটিতে তাদের রাশিয়ার আক্রমণের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আর মাটিতে চারদিক থেকে গোলা এসে পড়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান একসঙ্গে এসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। ইউক্রেনের সেনার দাবি, তারা রাশিয়ার একটি হেলিকপ্টার এবং একটি ড্রোন ধ্বংস করতে পেরেছে।ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জানিয়েছে, কিয়েভে দ্বিতীয় দিনেও লড়াই হয়েছে। তবে তার তীব্রতা আগের দিনের থেকে কম ছিল। তবে খারকিভের লড়াই ছিল খুবই তীব্র। রাশিয়া সেখানে বিমান থেকে সমানে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান থেকে গোলা ছুঁড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। রাশিয়ার বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনের ভিতর ঢুকে পড়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনাও তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করছে। আলোচনায় সম্মতিরাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় রাজি হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়ার পরই ইউক্রেন আলোচনায় রাজি হয়। পুটিনের এই নির্দেশের অর্থ হল, প্রয়োজন মনে করলে রাশিয়া যে কোনও সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা।জেলেনস্কির বক্তব্যইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ফোনে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনজুড়েই রাশিয়ার সেনার সঙ্গে ইউক্রেনের বাহিনীর লড়াই চলছে।জনসন জানিয়েছেন, জেলেনস্কি অসাধারণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই অবস্থায় ব্রিটেনের পক্ষে যা করা সম্ভব তা করা হবে। ব্রিটেন ও তার শরিক দেশগুলি থেকে ত্রাণসাহায্যও ইউক্রেন পৌঁছেছে। ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমানইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) বিদেশ নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবেন। গোলাবারুদ তো দেবেনই তার সঙ্গে যুদ্ধবিমানও দেয়া হবে। জার্মানিও ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র দিচ্ছে।ইইউ চায়ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, তিনি চান ইউক্রেন ইইউ-তে যোগ দিক। একটি ফরাসি সংবাদ নেটওয়ার্ককে তিনি বলেছেন, ‘ওরা আমাদেরই একজন। আমরা চাই, ওরা ইইউ-তে যোগ দিক।’