পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় গোটা দেশ কেঁপে উঠেছে। নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যালীলায় শিউরে উঠেছে দেশের মানুষজন। বাংলার তিনজন পর্যটক রয়েছেন নিহতের তালিকায়। আর এই ঘটনার জেরে ঘরে–বাইরে এখন চাপে মোদী সরকার। বিরোধীরা দেশের স্বার্থে এবং প্রতিশোধ নিতে যে কোনও পদক্ষেপে রাজি বলে সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু করতে তো হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই। পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারত জল বন্ধ করা থেকে শুরু করে ভিসা বাতিল–সহ পাঁচটি কড়া পদক্ষেপ করেছে। তবে তারপরও ইসলামাবাদের চৈতন্য হয়নি। এবার কড়া পদক্ষেপ করার দাবিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)।
আরএসএস প্রধান যে কথা বলেছেন তাতে চাপ আরও বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। কারণ এখন কী করণীয় সেটা বাতলে দিয়েছেন ভাগবত। এই আবহে সবার কথাই শুনতে হচ্ছে। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন একটাই উঠছে, ৫৬ ইঞ্চি ছাতির প্রমাণ মিলবে? যা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই আবহে মোহন ভাগবত বলেন, ‘অহিংসা আমাদের ধর্ম। আমরা প্রতিবেশীদের আক্রমণ করি না। কিন্তু অত্যাচারীকে ধ্বংস করাও ধর্ম পালন। সেটা অহিংসাই। কিছু মানুষের বদল সম্ভব নয়। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন তাঁদের স্বভাব বদলাতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের অভিযানে তোলপাড় শিলিগুড়ি, মিলল কোটি টাকা, গ্রেফতার ১
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন ২৬ জন। হামলার পরপরই দায়স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর–ই–তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। যদিও পরে আবার অবস্থান বদল করে। এই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরির লস্কর নেতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাই পাকিস্তানের নাম উঠে আসে। যদিও ইসলামাবাদ দায় এড়িয়েছে। কিন্তু সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের বক্তব্য, ‘অহিংসা যেমন ভারতীয়দের স্বভাবজাত, তেমনই আক্রমণকারীদের শাস্তি দেওয়াটাও সরকারের কর্তব্য। গোটা বিশ্বকে ওরা বিব্রত করে। এই পরিস্থিতিতে রাজার কর্তব্য হল, নিজের সম্পত্তি তথা রাষ্ট্রকে রক্ষা করা। তাই হামলাকারীকে হত্যা করাও কর্তব্য। কেউ যদি খারাপ কাজ করে, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তবে আত্মরক্ষায় জবাব দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’