ভারতীয় ও বিদেশি মুদ্রা মজুত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে আজ, রবিবার শিলিগুলি থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) উত্তরবঙ্গের জোনাল শাখা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৃতের বাড়ি এবং দুটি অফিসে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বিদেশি মুদ্রা এবং ভারতীয় অর্থ মিলিয়ে মোট ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৬২ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত তিরঙ্গা মোড় এলাকা থেকে শ্যামবাবু প্রসাদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর। এই ঘটনায় বেশ আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিকে শ্যামবাবুর বাড়ি এবং শিলিগুড়ির দুটি অফিসে টানা সাত ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়। আর এই অভিযানে ভারতীয় মুদ্রার পাশাপাশি নানা দেশের বৈদেশিক মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণে ভারতীয় এবং বিশ্বের নানা দেশের মুদ্রা উদ্ধার হওয়ায় চমকে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের অনুমান, নেপাল থেকে এই বিদেশি মুদ্রা আনা হয়েছে। আর তার বিনিময়ে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন করেছিলেন অভিযুক্ত শ্যামবাবু প্রসাদ। এই সমস্ত বিদেশের মুদ্রা বিদেশি পর্যটকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করাই ছিল শ্যামবাবুর লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি বা সিপিএম কাউকেই ভয় পাই না, দলের লোকজনের কাছেই ভয়’, বিতর্কে সাংসদ কল্যাণ
অন্যদিকে বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করে রেখেছিলেন বলেই শ্যামবাবুর বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রবিবার তাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে। এখন গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিআরআই সূত্রে। দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে শ্যামবাবুকে। কিন্তু তিনি যা তথ্য দিয়েছেন তার অধিকাংশই খুব সন্দেহজনক। তাই সেগুলি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই বিদেশি মুদ্রার লেনদেন অনেকদিন ধরেই করছে এই শ্যামবাবু বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
তাছাড়া তদন্তকারীদের কাছে এই বিদেশি মুদ্রা বেআইনিভাবে মজুত এবং লেনদেনের বিষয়টি পরিষ্কার হতেই শ্যামবাবু প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিদেশের যোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে নেপথ্যে আর কারা আছে? এটাই জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। এই বিদেশি মুদ্রা মজুত করার পিছনে কোনও নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। কারণ পহেলগাঁও হামলার ঘটনার পর সবকিছুই খতিয়ে দেখতে হচ্ছে।