দমদম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ের প্রান্তে অবস্থিত মসজিদ সরানোর দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দমদম বিমানবন্দরে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দুবাবু। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন আরও ২০ জন বিজেপি বিধায়ক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সুরক্ষার সঙ্গে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছু বিষয় যুক্ত রয়েছে। আমরা মনে করি, সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিশাল ত্রুটি থেকে যাচ্ছে। আমরা বিমাবন্দরের সীমান্ত পাঁচিলকে অবিলম্বে ক্লোজ করতে বলেছি। কলকাতা বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ক্লোজ নেই। ধর্মীয় কারণে। ধর্ম পালনের জন্য কিছু মানুষ প্রত্যেকদিনই আসছেন ও শুক্রবার বেশি করে আসছেন। এখান থেকে চিনের সঙ্গে, বাংলাদেশের একাধিক শহরের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ আছে। পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে রোজ জঙ্গি ধরা পড়ছে। তাই অবিলম্বে সীমানা বন্ধ করতে হবে। বিধাননগর পুলিশের দাদাগিরি চলবে না।’
এর পরই রানওয়ের প্রান্ত থেকে মসজিদ সরানোর দাবিতে সরব হন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘এয়ারপোর্টকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ভারত সরকার CISF দিয়ে রেখেছে। সীমানা বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে আরও ২টি রানওয়ে ব্যবহার হচ্ছে না। তার কারণ হিসাবে ওরা জানিয়েছেন, রানওয়ে 19Rএর প্রান্তে মসজিদ স্থানান্তর করতে হবে। এটাকে কেন স্থানান্তর করতে পারছেন না? সমঝোতা, আলোচনা বা আইনি পথে দ্রুত এর সমাধান করতে হবে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে। কেন কলকাতায় ১টা মাত্র রানওয়ে ব্যবহার করছে? কেন এটাকে ক্লোজ করছেন না? তাহলে এত টাকা বিনিয়োগ করে আরও ২টো রানওয়ে কেন বানিয়েছেন? আমরা এটা করাবই। আমাদের কথা না শুনলে গেটের বাইরে ধরনা দেব। দেশের সুরক্ষা ও এই বিমানবন্দরে ৩টি রানওয়ে চালু করার জন্য মোদীজি টাকা দিয়েছেন।’
বলে রাখি, দমদম বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ের প্রান্তে একটি শতাব্দীপ্রাচীন মসজিদ অবস্থিত। বিমানবন্দর তৈরি হওয়ার আগে ওই মসজিদের সামনে দিয়েই যেত যশোর রোড। বিমানবন্দর তৈরির পর যশোর রোড সরে গেলেও মসজিদটি রয়ে গেছে। মসজিদটির অবস্থান দ্বিতীয় রানওয়ের সঙ্গে সরলরেখায়। ফলে দ্বিতীয় রানওয়ে সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না। যার জেরে বড় বিমান ওই রানওয়ে থেকে উড়তে পারে না। কার্যত ১টি রানওয়ে 19Lএর ওপরে নির্ভর করে থাকতে হয় দমদম বিমানবন্দরকে। এর আগে মসজিদটি সরানোর জন্য একাধিকবার আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।