শুভমন গিলের রক্ষণশীল মানসিকতার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে লিডস টেস্টে পর। ইংল্যান্ড তাঁদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান চেজ করে জিতেছে হেডিংলে টেস্টে। মাত্র ৫ উইকেট হারিয়েই ইংল্যান্ড দল ৩৭১ রান তুলে নেওয়ার পর গিলের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠছে। কখনও কোনও ব্যাটারকে অ্যাটাক করতে হবে ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে, কখন রান আটকাতে হবে। কখন উইকেট তুলতে হবে, চাপ তৈরি করতে হবে। সেসব যেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না গিল।
যা দেখে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলছেন, ‘অনেকেই ভেবেছিল, শুভমন গিল অতিরিক্ত ডিফেন্সিভ ফিল্ডিং সাজিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় ও বাউন্ডারি আটকিয়ে ইংরেজদের চাপে ফেলতে চাইছিল। ভেবেছিল এভাবে উইকেট আসবে। আমি বিরাট কোহলির সঙ্গে গিলের তুলনা করতে চাই না, কারণ গিল অনেক তরুণ। কিন্তু বিরাট থাকলে কখনই এমন ডিফেন্সিভ ফিল্ড সেট করত না। এটা বিরাট থাকলে বলত, যে আমাদের যথেষ্ট রান রয়েছে। আমি ওদেরকে চা-পানের বিরতির আগেই আউট করে দেব। এবার অ্যাটাকিং ফিল্ডিংয়ে ও ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে পারত কিনা সেটা নিশ্চিত না হলেও, ও এরকমই করত ’।
অবশ্য মঞ্জরেকর মেনেও নিচ্ছেন যে গিলের হাতে বিরাটের মতো বোলিং অস্ত্রও নেই, যেমনটা এক সময় শামি-ইশান্ত-উমেশ-বুমরাহদের থেকে পেয়েছেন কোহলি। সঞ্জয় বলছেন, ‘গিলের হাতে ইংল্যান্ডের মতো বোলিং অ্যাটাক নেই। ওদের বুমরাহ না থাকলেও অলরাউন্ড অ্যাটাক রয়েছে। জাদেজার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও ভারতের উচিত ছিল একটা সাধারণ ফিল্ডিং সেট করার । শুভমন সবে শুরু করছে, তাই ওকে নিয়ে আমি বেশি কিছু বলব না, তবে আগে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সেট করতে হয় ’।
শুভমন গিলকে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে হবে আগামী টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে হলে। স্রেফ বোলিং অ্যাটাকেই পরিবর্তন নয়। কারা প্রথম একাদশে খেলবেন, সাই সুদর্শনকেই রাখা হবে কিনা। শার্দুলের পরিবর্তে নীতীশ রেড্ডি আসবেন কিনা, সিরাজ বা কৃষ্ণাকে বসালে কাকে আনা হবে? বুমরাহ খেলবেন কিনা, সব কিছু নিয়েই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে গিলকে।