ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশে এবার ডিএ নিয়ে বড় আপডেট সামনে এল। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে যে কমিশন তৈরি করা হয়েছিল সেখানেই ডিএ নিয়ে বড় আপডেট দেওয়া হয়েছে।তবে এই সুপারিশ সামনে আসার পরেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্য়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কী আছে সেই সুপারিশে?
সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য সরকার তার তহবিল(ফিনান্সিয়াল রিসোর্স) অনুসারে সময়ে সময়ে ডিএর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।তবে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুসারে এই ডিএ মঞ্জুর অথবা নির্ধারিত করা বা বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই রাজ্য সরকারের।
আর এই পয়েন্টটিকে ঘিরেই শোরগোল পড়েছে কর্মচারীদের একাংশের মধ্য়ে। সর্বভারতীয় ভোক্তা মূল্য মেনে ডি এ নির্ধারিত করার দরকার নেই রাজ্য সরকারের। এই সুপারিশকেই মানতে পারছেন না কর্মচারীর সংগঠনের অনেকেই। তাঁদের মতে, এটা তো কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই কার্যত উল্লেখ করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে?
ইতিমধ্যেই এই সুপারিশকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কর্মচারী সংগঠনগুলির একাংশও এনিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবি বহুদিন ধরেই করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তবে এবার ষষ্ঠ বেতন কমিশনের যে সুপারিশ সামনে এসেছে তাকে কিছুতেই মানতে পারছেন না কর্মচারীদের অনেকেই। তাঁদের মতে, এই সুপারিশের মাধ্যমে কার্যত' শিক্ষক, কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের অর্জিত অধিকারকে খর্ব করে বলা হয়েছে ডিএ প্রদান সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের ইচ্ছের উপর নির্ধারিত হবে।'
এনিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের (SUA) সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রেকমেন্ডেশন আজ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে শিক্ষক, কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের অর্জিত অধিকারকে খর্ব করে বলা হয়েছে ডিএ প্রদান সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের ইচ্ছের উপর নির্ধারিত হবে। এ আই সি পি আই অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসংবিধানিক। এই সরকার যে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সহ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থ বিরোধী সরকার তা এই সুপারিশ প্রকাশিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মুখোশটা খুলে গেল। শুধু আইন দিয়ে হবে না, আইনের পাশাপাশি সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মচারী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে সর্বাত্মক লড়াইয়ে নামতে হবে।