দিল্লির তাজ প্যালেসে গীতাংশা সুদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রীতেশ। এরপর একটি পাঁচ তারা হোটেলে তাঁদের রিসেপশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন নতুন প্রজন্মের সফল ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি ছিল। নবদম্পতিকে অভিনন্দন জানান তাঁরা। অনেককেই সফটব্যাঙ্কের সিইও-র সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মঙ্গলবার দিল্লিতে OYO প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়ালের বিয়েতে এসেছিলেন সফটব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মাসায়োশি সন। বিয়ের আসরে পেটিএম-এর বিজয় শেখর শর্মা, লেন্সকার্টের পীযূষ বনশল এবং ফ্লিপকার্টের সিইও কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তির মতো দেশের সেরা স্টার্টআপ কর্তাদের চাঁদের হাট বসেছিল। নবদম্পতিকে সফটব্যাঙ্ক কর্তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা যায়। Oyo-র ৪৫% মালিকানা রয়েছে সফটব্যাঙ্কের কাছে। আরও পড়ুন: বিদ্যুত্ সংযোগ ছাড়াই জ্বলবে এই বাল্ব! লাগান উঠোন, বারান্দা বা ঘরে
দিল্লির তাজ প্যালেসে গীতাংশা সুদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন রীতেশ। এরপর একটি পাঁচতারা হোটেলে তাঁদের রিসেপশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন নতুন প্রজন্মের সফল ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি ছিল। নবদম্পতিকে অভিনন্দন জানান তাঁরা। অনেককেই সফটব্যাঙ্কের সিইও-র সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। ভারতের স্টার্টআপ ক্ষেত্রে, অনেক সফল সংস্থার পিছনেই ছিল চিনের এই সফটব্যাঙ্কের মোটা টাকার বিনিয়োগ। পেটিএম কর্তা বিজয় শেখর শর্মাও বিলিয়নেয়ার বিনিয়োগকারী মাসায়োশি সনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁরাও একটি সেলফি তোলেন।
ছবি: টুইটার
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল রীতেশ আগরওয়াল এবং তাঁর স্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ছবি শেয়ার করেন।
রীতেশ আগরওয়াল তাঁর বিয়েতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গত মাসে, OYO সিইও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মা এবং তাঁর বাগদত্তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন তিনি। ছবিতে হবু দম্পতিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রণাম করতে দেখা যায়। তিনি লেখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ নিয়ে আমরা সবাই মিলে এক নয়া সূচনা করতে চলেছি। তিনি আমাদের এতটাই উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান যে, আমাদের অনুভূতি ভাষায় অবর্ণনীয়।'
ওড়িশার এক মাড়োয়ারি পরিবারে জন্ম রীতেশ আগরওয়ালের। ২০১১ সালে দিল্লিতে কলেজে ভর্তি হয়ে চলে আসেন। কিন্তু পুঁথিগত পড়াশোনায় তাঁর মন টেকেনি। দুই বছর পরেই কলেজ ছেড়ে দেন। তবে তাঁর দুর্দান্ত মেধা ও ব্যবসায়িক বুদ্ধির কারণে থিয়েল ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হন। ফেলোশিপ জেতার মাধ্যমে তিনি মোট ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের অনুদান পান। সেই বিনিয়োগ দিয়েই ২০১৩ সালে তিনি OYO-র সূচনা করেন। আজ ভারতের প্রতিটি প্রান্তে সেই OYO-র পার্টনারশিপে যুক্ত হোটেল। আরও পড়ুন: Jio, Vi ও Airtel-এর সবচেয়ে সস্তার তিন প্ল্যান, জানুন এক নজরে
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক