বিনোদন জগতের জন্য দারুণ খুশির খবর৷ টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে প্রিয় পুত্রবধূদের অন্যতম তুলসী বিরানী আবারও মানুষের মনোরঞ্জন করতে আসছেন।খুব শীঘ্রই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি'-এর দ্বিতীয় সিজন আসতে চলেছে।একটা সময় এই ধারাবাহিকই স্মৃতিকে পৌঁছে দিয়েছিল ঘরে ঘরে।আর এই খবর ফাঁস হতেই উত্তেজিত ভক্তরা।তবে আচমকা অভিনেত্রীর ধারবাহিকের খবর আসতেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।তবে কী এতদিন বাদে ধারাবাহিকে পা রেখে রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চলেছেন মাত্র ৪৯-র স্মৃতি ইরানি?এবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ছেন খোদ স্মৃতি ইরানি।
ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে এক সাক্ষাৎকারে স্মৃতি ইরানি তাঁর ছোটপর্দায় ফেরার কারণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, '৪৯ বছর বয়সে কে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়? ৪৯ বছর বয়সে অনেকের তো কর্মজীবন শুরুই হয় না। আমি তো তিনবারের সাংসদ, পাঁচটা দফতরের মন্ত্রী ছিলাম, এখনও অনেক পথ চলা বাকি।' ২০২৯ সালের নির্বাচনে আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা জানতে চাইলে, স্মৃতি ইরানি সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তিনি বলেন, 'দল কী সিদ্ধান্ত নেবে তার ভবিষ্যদ্বাণী আমি করতে পারি না। হয়তো দল ২০২৬ সালে, এমনকি ২০২৫ সালেও কিছু সিদ্ধান্ত নেবে। বস্তুত, ২০২৪ সালে কংগ্রেস প্রার্থী কেএল শর্মার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া! থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ, বাড়ছে উত্তজেনা
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গে স্মৃতি বলেন, '২০২৪ সালের নির্বাচনেও যদি রাহুল গান্ধী তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী হতেন, তাহলে তিনি তাকে আরও একবার পরাজিত করতেন। এই কারণেই রাহুল (আমেঠি থেকে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।' নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'দল আমাকে কী দায়িত্ব দেবে তা আমি জানি না। তবে আমি জানি একজন সাংসদ হিসেবে কাজের মাধ্যমে আমি আমার যোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছি।' তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কেন টিভিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? উত্তরে স্মৃতি ইরানি বলেন, 'আমার মতে, এই উত্তরটা খুব ছেলেমানুষি। দেখুন, মানুষের জীবনে পছন্দ করার, বেছে নেওয়ার অবকাশ থাকে না। আমার আছে।'
আরও পড়ুন-অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া! থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ, বাড়ছে উত্তজেনা
স্মৃতি ইরানি আরও বলেন, 'জীবনকে খুঁটিয়ে দেখা আমার স্বভাব। আপনি যদি জীবনকে শুধুমাত্র একটি দিক থেকে দেখেন, একটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন, তাহলে সেটা আবার কেমন জীবন। আমি জাতীয় রাজনীতিতেও এসেছিলাম, তখন আমি অনুভব করেছিলাম, যে আমাদের সমাজে এমন অনেক কিছু আছে যার প্রতি মানুষের মনোযোগ দেওয়া দরকার। সেটা রাজনীতি হোক বা সংবাদমাধ্যম। আপনি যদি নিজের এমন একটা জায়গা তৈরি করতে পারেন যে, আপনি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন, আপনি যদি মানুষের প্রতিচ্ছবি হন বা মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারেন, তবে এমন সুযোগ কে ছাড়বে।'