উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মঙ্গলবার তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান জল্পনার মধ্যে মুখ খুললেন, বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্ভাব্য অবসর নিয়ে আলোচনা, দাবির মধ্য়েই মুখ খুলেছেন তিনি।
ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সমর্থন করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যোগী আদিত্যনাথ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, তিনি রাজনীতিকে তাঁর পুরো সময়ের কাজ বলে মনে করেন না।
'দেখুন, আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দল (ভারতীয় জনতা পার্টি) আমাকে উত্তরপ্রদেশের জনগণের জন্য এখানে রেখেছে এবং রাজনীতি আমার কাছে পুরো সময়ের কাজ নয়। বর্তমানে আমরা এখানে কাজ করছি কিন্তু বাস্তবে আমি একজন যোগী।
ভিডিওটি দেখুন এখানে:
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত সম্প্রতি দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী - যিনি ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছরে পা দেবেন - শাসক দলের অঘোষিত নিয়ম অনুসারে এই বছর পদত্যাগ করবেন - ৭৫ বছরের বেশি বয়সি দলের নেতারা মন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না।
তবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলেছে যে এমন কোনও নিয়ম নেই এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমপক্ষে একজন সদস্য রয়েছেন যিনি এই 'বয়সসীমার' বেশি - ৮০ বছর বয়সি বিহারের নেতা জিতন রাম মাঝি।
কতদিন রাজনীতিতে থাকবেন, সেই প্রশ্নে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এর জন্যও একটা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে।
রাজনীতি তাঁর স্থায়ী পেশা নয় কিনা জানতে চাওয়া হলে আদিত্যনাথ বলেন, 'হ্যাঁ, আমি সেটাই বলছি।
ধর্ম ও রাজনীতির ছেদ সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, 'আমরা ধর্মকে একটি সীমাবদ্ধ জায়গায় সীমাবদ্ধ করি এবং রাজনীতিকে মুষ্টিমেয় লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি, এবং সেখানেই সমস্যার উত্থান ঘটে।
তিনি বলেন, রাজনীতি যদি স্বার্থসিদ্ধি থেকে পরিচালিত হয়, তাহলে সমস্যা তৈরি হবে। তবে তা যদি বৃহত্তর কল্যাণের জন্য হয়, তাহলে তা সমাধান দেবে। আমাদের সমস্যার অংশ হওয়া বা সমাধানের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে এবং আমি বিশ্বাস করি ধর্মও আমাদের এটাই শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, 'ধর্ম যখন স্বার্থের জন্য অনুসরণ করা হয়, তখন তা নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। তবে, যখন কেউ নিজেকে একটি উচ্চতর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে, তখন এটি অগ্রগতির জন্য নতুন পথ উন্মুক্ত করে।