রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে অযোধ্যা রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এই ইমাম। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের শেষে বৈদিক আচার অনুষ্ঠান করেন।
অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম ড. ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি
এবার বিতর্ক তৈরি হল অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে ঘিরে। কারণ অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া এক বিশিষ্ট মুসলিম ধর্মগুরু এখন আতঙ্কে ভুগছেন। কারণ তাঁকে এখন নানা হুমকি শুনতে হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। এমন ঘটনাও যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। ওই মুসলিম ধর্মগুরু তথা ইমামের বক্তব্য, গত ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ‘ফতোয়া’ জারি করা হয়েছে। এমনকী নানা হুমকি আসছে ফোনে।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মুসলিম সমাজের মানুষের মধ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম ড. ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া ‘ফতোয়া’ হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘একজন প্রধান ইমাম হিসেবে আমি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমি দু’দিন চিন্তা করি এবং তারপরে সম্প্রীতির কথা ভেবে দেশের জন্য অযোধ্যা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’ আর তারপর থেকেই তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেউ সমর্থন করছেন না। কে বা কারা এমন হুমকি দিচ্ছে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে ড. ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসির কথায, ‘গতকাল ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ফোন করে। আমি কয়েকটি কল রেকর্ড করেছি। যেখানে ফোন করে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আমাকে ভালবাসেন, দেশকে ভালবাসেন তাঁরা আমাকে সমর্থন করবেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য যাঁরা আমাকে ঘৃণা করেন তাঁদের সম্ভবত পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। ভালবাসার বার্তা দিয়েছি, কোনও অপরাধ করিনি। আমি ক্ষমা চাইব না বা পদত্যাগ করব না। তারা যা খুশি তাই করতে পারে।’
এছাড়া রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে অযোধ্যা রাম মন্দিরের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এই ইমাম। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের শেষে বৈদিক আচার অনুষ্ঠান করেন এবং আরতি ও প্রণাম করে দেবতার উদ্দেশে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটান। রামলালার ৫১ ইঞ্চি মূর্তিটি সোনার মুকুট এবং সোনার অলঙ্কার দিয়ে সজ্জিত। আর একটি সোনার ধনুক এবং তীর ছিল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাধু, ধর্মীয় নেতা, বিজেপি নেতা, চলচ্চিত্র তারকা, ক্রিকেটার এবং শিল্পপতিরা।