অম্বুবাচী উৎসবকে হিন্দুধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বলে মনে করা হয়। বহু জায়গায় অম্বুবাচীকে অমাবতীও বলা হয়। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রীয় নানান বিধান। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকেই এই উৎসব পালিত হয়। আষাঢ়ের ৭ তারিখে এই অম্বুবাচী উৎসব পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয়, ওই দিনে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হয়। আর তাতেই ধরিত্রী সুফলা হয়, রজস্বলা হয়। সেই দিনেই পালিত হয় অম্বুবাচী।
অম্বুবাচী তিথি:-
আজ রবিবার পড়ে গিয়েছে অম্বুবাচী তিথি। অম্বুবাচী তিথি শুরু হলে তা পর পর চলে এই উৎসবের পর্ব। ২২ জুন, ২০২৫ সালে শুরু হয়েছে অম্বুবাচীর তিথি। এদিন দুপুর ২ টো ৫৭ মিনিটে শুরু হয়ে গিয়েছে এই অম্বুবাচী তিথি। আর তিথি শেষ হবে ২৫ জুন অর্থাৎ ১০ আষাঢ় রাত ৩ টে ২১ মিনিটে। সেই সময় এই অম্বুবাচীর নিবৃত্তি হবে।
( তৈরি হয়েছে কুজকেতু যোগ! সুফলের বর্ষণ বৃষ সহ বহু রাশিতে, কৃপা করছেন কোন ২ গ্রহ?)
( ‘এবার শান্তির সময়’, ইরানের বুকে ৩ পারমাণবিক কেন্দ্র US গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর বার্তা ট্রাম্পের)
( ‘অনেক টার্গেট এখনও বাকি… হয় শান্তি, নয় ইরানের ট্র্যাজেডি’, তেহরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের)
( ইরানে USর হানার পর মার্কিন শহরগুলিতে হাই অ্যালার্ট! নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটনে কী পরিস্থিতি?)
( পহেলগাঁও কাণ্ডে NIAর জালে ২, ধৃতদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ? জেরায় কী জানা গেল?)
অম্বুবাচী পালনের নিয়ম:-
মনে করা হয়,ঋতুমতি মহিলাদের মতো করেই অম্বুবাচীর সময় ধরিত্রীও হন ঋতুমতী। যেভাবে ঋতুমতী মহিলারা অশুচি পালন করেন, সেই মতো মনে করা হয়, এই সময় ধরিত্রীও অশুচি থাকে। ফলে, এই সময় পৃথিবীর বুকে, মাটির ওপর কোনও সন্ন্যাসী, যোগী পুরুষ, বিধবা মহিলারা আগুনের রান্না করা কিছু খান না। এই সময়কাল তাঁরা ফলমূল খেয়ে কাটান। অসমের কামাক্ষ্যায় এই সময়কালে ধূমধাম সহকারে পুজো করা হয়। শুধু সেখানেই নয়, বাড়ির ঠাকুরের বেদী থেকে শুরু করে বিবিন্ন মন্দিরে এই সময়ের মাতৃশক্তির দেবীদের পুজো ঘিরে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। কালিকা পূরাণ অনুসারে কামাক্ষ্যা মন্দিরে সতীর সঙ্গে বিয়ে হয় শিবের। তাণ্ডবের সময় এখানেই দেবীর দেহাংশের একটি অংশ পড়ে। তারপর থেকেই কামাক্ষ্যা মন্দির দেশের অন্যতম সতীপীঠ। আর অম্বুবাচীতে সেখানে ধুমধাম সহকারে পুজো পালিত হয়।