বৃষ্টি আসার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া যত উপভোগ্য হয়, রোগের ঝুঁকিও ততই বেড়ে যায়। কারণ এই সময় প্রকৃতি সবুজে ভরে ওঠে, যার ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে, যা মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। এই কারণেই এই মরসুমে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এই সময়ে কিছু মশা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং ভাইরাল জ্বরের মতো রোগ ছড়াতে পারে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই রোগের থেকে বাঁচতে সবাই মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় খোঁজে। অনেকে মশা তাড়ানোর জন্য মশা তাড়ানোর তরল ব্যবহার করে, আবার অনেকে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে। যদি আপনিও সন্তানদের মশা থেকে রক্ষা করার জন্য মশা তাড়ানোর তরল ব্যবহার করেন, তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান।
ডাক্তার ইমরান প্যাটেলের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং প্রায়শই চিন্তিত হয়ে পরেন এই ভেবে যে তাদের সন্তান ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা। তাই তাঁরা সবসময় জানতে চান কী ব্যবহার করা উচিত এবং কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যাতে মশা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে ডাক্তার বলেন যে, বাজারে যে 'হার্বাল/প্রাকৃতিক' বলে সস্তা ধূপ বেশ বিক্রি হয়, যে ধূপের রঙ সবুজ, যা দেখে মনে হয় প্রাকৃতিক। কিন্তু এগুলি নিরাপদ নয়। এগুলিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে এবং এগুলি সরকার কর্তৃক অনুমোদিতও নয়। এর ফলে আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাহলে উপায়?
মশা থেকে বাঁচার উপায়
১) সন্তানদের পুরো হাতাওয়ালা পোশাক পরান।
২) মশার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে এমন সময় জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন।
৩) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মশা তাড়ানোর তরল ব্যবহার করুন। যার উপর CIR নম্বর লেখা আছে। CIR নম্বর কী? CIR অর্থাৎ Central Insecticide Registration Number। এই নম্বর সরকার কর্তৃক প্রদান করা হয়, পণ্যের গুণমান পরীক্ষা করার পর। আপনি যে মশা তাড়ানোর তরল ব্যবহার করছেন, তার উপর CIR চিহ্ন দেখে নিন।
৪) বাড়ির চারিপাশ সর্বদা পরিষ্কার রাখুন। জল যাতে না জমে, সেই দিকে খেয়াল রাখুন।
৫) রাতে বা দিনে ঘুমনোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যাবহার করুন।