আইআরসিটিসি-র সার্ভিস চার্জের ৫০% যাবে রেল মন্ত্রকের ঘরে। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছিল রেল মন্ত্রক। কিন্তু স্বল্প সময়েই মত পাল্টাল রেল। আইআরসিটিসির অর্ধেক টাকা নেওয়া হবে না, জানিয়ে দিল DIPAM।
উল্লেখ্য, আইআরসিটিসি-র সার্ভিস চার্জ বাবদ আয়ে রেল মন্ত্রকের ভাগ বসানোর খবরের পরেই নিম্নগামী হতে শুরু করে শেয়ার। সম্ভবত, বিনিয়োগকারীরা এতে আইআরসিটিসির মুনাফা কমার আশঙ্কা করেছিলেন। এক ধাক্কায় ৪% পড়ে যায় শেয়ার দর। শুক্রবার দিনের শুরুতে ২৫% হ্রাস পায় আইআরসিটিসির শেয়ার দর।
কিন্তু সেই ভাগ যে নেওয়া হবে না, তা ঘোষণা হতেই সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজারে। ফের চাঙ্গা হতে শুরু করে আইআরসিটিসির শেয়ার দর।
IRCTC-র বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, চলতি অর্থবর্ষে এর মধ্যে কনভিনিয়েন্স ফি থেকে ২৯৯.১৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে। মহামারীর পরে রেলের টিকিট বুকিং কমে যাওয়ার কারণে টাকার অঙ্ক কম ছিল। IRCTC ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই একই খাতে ৩৪৯.৬৪ কোটি টাকা আয় করেছে।
তবে, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদের আগের আশঙ্কাটা কিছুটা অমূলক ছিল, মত বিশেষজ্ঞদের। এর কারণ হিসাবে তাঁরা বলছেন, রেল মন্ত্রক আইআরসিটিসির টাকায় ভাগ বসালেও, মোট মুনাফায় পরিবর্তন হত না।