যেটা কেন্দ্রীয় আইন, সেটা সকলকে মানতেই হবে। এখানে কারও কিছু করার নেই। বরং, যেভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে, সেটাকে আগে নিয়ন্ত্রণে আনা হোক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের করা শুক্রবারের (১২ এপ্রিল, ২০২৫) এক্স পোস্ট এবং ওয়াকফ প্রতিবাদের জেরে মুর্শিদাবাদ জেলায় ছড়িয়ে পড়া হিংসা প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
ঘটনা হল - প্রথমে জঙ্গিপুর এবং পরবর্তীতে একে একে - সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান-সহ মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হন মূলত সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ। কিন্তু, সেই প্রতিবাদ আন্দোলন ক্রমেই প্রাণঘাতী, সম্পদহানিকর হিংসায় পরিণত হয়। ইতিমধ্যেই জীবন দিয়ে যার মূল্য চোকাতে হয়েছে একাধিক মানুষকে।
অন্যদিকে, অশান্তির এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার তাঁর ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে মূলত শান্তির বার্তা দিয়ে একটি পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পোস্টের নির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে বিজেপি তথা গেরুয়া শিবির এ নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। কী লিখেছিলেন মমতা?
তিনি লিখেছিলেন, 'মনে রাখবেন, যে আইনের বিরুদ্ধে অনেকে উত্তেজিত, সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে।
আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে বলেছি - আমরা এই আইনকে সমর্থন করি না। এই আইন আমাদের রাজ্যে লাগুও হবে না। তাহলে দাঙ্গা কীসের?'
এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী কার্যত মনে করিয়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে জানান, এটা মূল আইনের সংশোধনীমাত্র (সংশোধিত ওয়াকফ আইন)। এবং সেটা ইতিমধ্যেই সারা দেশে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। তাই, সেই আইন কেউ চাইলেই অমান্য করতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি কেন্দ্রীয় আইন। এবং ইতিমধ্যেই সেই আইন কার্যকর হয়ে গিয়েছে। সকলকেই তা মেনে চলতে হবে। এছাড়া, আর কোনও উপায় নেই।’
এরপরই মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে তোপ দাগেন কেন্দ্রের মন্ত্রী। দাবি করেন, সেখানে নাকি বেছে বেছে একটি সম্প্রদায়ের মানুষকেই নিশানা করা হচ্ছে। প্রহ্লাদ বলেন, 'ওখানকার আইন-শৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে, তা ঠিকঠাকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। রাত-দিন ওরা মানুষ খুন করছে। নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষ, যারা হিন্দু, তাদের নিশানা করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'