রয়েছে রোগীদের জন্য শয্যা, অস্ত্রোপচারের ঘর, কেবিন। একেবারে ঝাঁ-চকচকে এক একটি ওয়ার্ড, রয়েছে অত্যাধুনিক মেশিনও। আর সেই সঙ্গে সর্বক্ষণ স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন চিকিৎসরা। রোগীদের দেখার জন্য রয়েছেন নার্সরাও! এক কথায় একটি হাসপাতালে যা যা থাকার দরকার সব কিছুই রয়েছে। দেখে মনে হবে সত্যিকারের হাসপাতাল। কিন্তু, আসলে সেগুলি হল ভুয়ো হাসপাতাল। এমনই ভুয়ো হাসপাতালের হদিশ মিলল হরিয়ানার গুরুগ্রামে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফ্লাইং স্কোয়াড গত কয়েক মাস ধরে অভিযান চালিয়ে গুরুগ্রাম সেক্টর ২৮–এ ৩০টি ভুয়ো হাসপাতালের হদিশ পেয়েছে। সেই হাসপাতালগুলিকে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এছাড়া, একজন ভুয়ো চিকিৎসককেও গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই ভুয়ো ডাক্তার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি ডাক্তারির নথি জাল করছিলেন। গর্ভবতী মহিলাদের অবৈধ লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য আল্ট্রাসাউন্ড পরিচালনা, রোগীদের চিকিৎসা, গর্ভবতী মহিলাদের আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করতেন ওই ভুয়ো চিকিৎসক। ধৃতের নাম রাজুমাল। তিনি হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একটি হাসপাতাল থেকে আল্ট্রা-সাউন্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত দুটি সরঞ্জাম এবং গর্ভধারণ বন্ধ করার জন্য অবৈধভাবে সংগ্রহ করা কিট খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সেই হাসপাতাল থেকেই ওই ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালগুলিতে সমস্ত ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিল।
তদন্তকারীদের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে আরও অনেক ভুয়ো হাসপাতাল রয়েছে। সেগুলির খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো চিকিৎসকরা সাধারণত ওপিডি পরিষেবাগুলি পরিচালনা করত। এছাড়া, ইনজেকশন, প্লাস্টার, ড্রেসিং এবং ডেলিভারি প্রভৃতি পরিষেবা দিত। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে কয়েকটিতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার সরঞ্জাম, ল্যাব, আইসিইউ ওষুধ, জরুরি কক্ষ, লেবার রুম এবং একটি অপারেশন থিয়েটারও সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত ছিল।