জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত, তিক্ততা বেড়েই চলেছে। আর ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে পাকিস্তানের বৈদেশিক অর্থসংস্থানের সুযোগ ব্যাহত এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। এভাবেই সর্তক করেছে বিশ্বব্যাপী রেটিং সংস্থা মুডি’স। একই সঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী কয়েক বছরের জন্য তার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
আরও পড়ুন-ওদের শাস্তি দিতেই হবে! পাকের ঘুম উড়িয়ে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে মোদীকে ফোন পুতিনের
মুডি'স রিপোর্টে বলেছে, বর্তমানে ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল। দুই দেশের মধ্যে স্থানীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলেও ভারতের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না বলে আশাবাদী মুডি'স। কারণ, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আর্থিক সম্পর্ক নূন্যতম। ২০২৪ সালে ভারতের মোট রপ্তানির ০.৫ শতাংশেরও কম পাকিস্তানে ছিল। তবে, উচ্চ প্রতিরক্ষা ব্যয় ভারতের আর্থিক শক্তির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং এর আর্থিক স্থিতবস্থাকে ধীরে ধীরে ব্যহত করতে পারে বলে বিশ্বব্যাপী রেটিং সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'পাকিস্তান এবং ভারতের জন্য আমাদের ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মূল্যায়ন ক্রমাগত উত্তেজনা বিবেচনা করে, যা মাঝে মাঝে সীমিত সামরিক প্রতিক্রিয়ার দিকে পরিচালিত করেছে। আমরা ধরে নিই যে দুই সার্বভৌম দেশের স্বাধীনতা-উত্তর ইতিহাসজুড়ে পর্যায়ক্রমে সংঘর্ষ দেখা দেয়, তবে এটি সম্পূর্ণ, ব্যাপক সামরিক সংঘাতের দিকে পরিচালিত করবে না,' এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে মুডি’সের।
আরও পড়ুন-ওদের শাস্তি দিতেই হবে! পাকের ঘুম উড়িয়ে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে মোদীকে ফোন পুতিনের
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তীব্রভাবে হ্রাস করেছে। জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয় এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক।এই ঘটনার পরই ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের জল সরবরাহকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করবে। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির উপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং সরকারের চলমান আর্থিক সংহতিকে ব্যাহত করবে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে পাকিস্তানের অগ্রগতিকে পিছনে ফেলে দেবে বলে মুডি'স জানিয়েছে।