ভারতের প্রত্যাঘাতে তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের একাধিক সেনাঘাঁটি। আর সেই ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপরেই গত ৭ মে অপরেশন সিঁদুর চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। তারই পালটা দেয় ভারত। পাকিস্তান লাগাতার ভারতের সাধারণ মানুষের উপরে হামলা চালাতে থাকে। আর নিশানা করে ভারতের সামরিক প্রতিষ্ঠানকে। তারপরই পালটা প্রত্যাঘাত করে ভারত।
আরও পড়ুন-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ! সংঘর্ষ বিরতি হতেই ফের খুলল উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, 'আমাদের লড়াই ছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে নয়। কিন্তু আফসোস হল, পাকিস্তানি সেনা জঙ্গিদের হয়ে ময়দানে নেমে পড়ল। জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ানোটাই ঠিক বলে মনে করল।'
ভারতের হামলায় পাকিস্তানের নুর খান এয়ারবেস, রহিমিয়ার খান এয়ারবেসে কতটা ক্ষতি হয়েছে, ভিডিয়ো প্রকাশ করে তা দেখিয়েছেন এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী। এছাড়া পাকিস্তানের পাঠানো চিনা পিএল-১৬ মিসাইল কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তার টুকরোগুলোও দেখানো হল স্ক্রিনে। পাকিস্তানের পাঠানো একটি রকেটের টুকরোও দেখানো হল। সেইসঙ্গে ভারতীয় সেনা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারতের কোনও সেনাঘাঁটিতেই কোনও ক্ষতি হয়নি। কোনও অপারেশন হলে সেনা তার জন্য তৈরি আছে বলেও জানানো হয়েছে।
একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির নুর খান বায়ুসেনা সামরিক ঘাঁটির রানওয়েতে পুকুর মতো বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণে আগুন ধরে গিয়েছে আশপাশের এলাকায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে জায়গাটা।পাক সেনা সদর দফতরের কাছে ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির এই বায়ু সেনাঘাঁটি। মনে করা হচ্ছে, একের পর এক ঘায়েল হয়েই পাকিস্তান শেষপর্যন্ত হটলাইনের সংঘর্ষ বিরতির জন্য ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইকে অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ! সংঘর্ষ বিরতি হতেই ফের খুলল উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর
এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী আরও জানান, 'ভারতের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে দাঁত ফোটাতে পারেনি পাকিস্তান। পাক বিমানের হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ রুখেছে বায়ুসেনা। শুধু আধুনিক অস্ত্র নয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে এসেছে তথাকথিত পুরনো অস্ত্রও। চিনে তৈরি রকেট উড়ে এসেছিল পাকিস্তান থেকে, সবকটিকে নামিয়েছে বায়ুসেনা। স্বয়ংক্রিয় চিনা পাক ড্রোনকেও ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা।'